লাঠি ও ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করে খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের বিচার দাবি করেছেন রাঙামাটির শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সদর উপজেলার কুতুকছড়ি এলাকায় এর আয়োজন করে ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’। এতে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য বিচারহীনতাকে দায়ী করেন।
কুতুকছড়ির বড় মহাপূরম উচ্চ বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, দাগি অপরাধীদের শাস্তি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামে পোস্টিং দেওয়া হয়। এমনকি শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অপরাধে শাস্তি হিসেবে মানিকগঞ্জ থেকে বান্দরবানে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে।
পার্বত্য চট্টগ্রামকে কেন ‘পানিশমেন্ট জোন’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, রাষ্ট্রের কাছে এর জবাব চেয়ে বক্তারা বলেন, এসব ঘটনা প্রমাণ করে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাষ্ট্র পাহাড়িদের বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় চারজনের গ্রেপ্তারকে লোকদেখানো উল্লেখ করে তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অতীতে সংঘটিত ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচার না হওয়ায় ধর্ষকরা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সাহস পাচ্ছে। বিচারহীনতার কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। পাহাড়ি নারীরা এখন নিজ বাড়িতে, রাস্তাঘাটে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে– কোথাও নিরাপদ নন। বক্তারা অবিলম্বে সব ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দ্রুত সাজা দেওয়ার দাবি জানান।
শিক্ষার্থী একি চাকমার সভাপতিত্বে সেখানে বক্তব্য দেন কেতু চাকমা, ইতি চাকমাসহ অন্যরা। এর আগে একটি লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল কুতুকছড়ি নির্বাণপুর বনবিহারের ফটক থেকে শুরু হয়ে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক ধরে কুতুকছড়ি বাজার প্রদক্ষিণ করে। এতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা ‘যৌন নিপীড়নবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী মঞ্চ’ নামের প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করেন। ১১ সদস্যের কমিটিতে একি চাকমাকে আহ্বায়ক ও মৈত্রী চাকমাকে সদস্য সচিব ঘোষণা করা হয়।