‘পা কাঁপছিল’—মেসিকে সামনে দেখে আবেগে ভেসেছেন ব্রাজিলের ‘মেসিনহো’

ব্রাজিলিয়ান তরুণ তারকা এস্তেভাও উইলিয়ান জানালেন, লিওনেল মেসির বিপক্ষে খেলতে গিয়ে কতটা আবেগাক্রান্ত ছিলেন তিনি। ক্লাব বিশ্বকাপে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে পালমেইরাস দলের হয়ে মাঠে নামেন ১৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার, যিনি ছোটবেলায় ‘মেসিনহো’ নামে পরিচিত ছিলেন—মেসির প্রতি ভালোবাসা ও তার খেলার ধরনে মিলের কারণ থেকেই এই নাম।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,
“ম্যাচ শুরুর সময় আমার পা কাঁপছিল। মেসিকে সামনে দেখেই আমি আবেগে ভেসে যাই। তিনি আমার আদর্শ, আমার অনুপ্রেরণা। তার সঙ্গে একই মাঠে খেলতে পারা ছিল বিরাট সম্মান, একেবারেই ভুলতে না পারা অভিজ্ঞতা। ”

মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি ২–২ গোলে ড্র হয়। যদিও এস্তেভাও এই ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হতে পারেননি (পুরস্কারটি পেয়েছেন ইন্টার মায়ামির লুইস সুয়ারেস), আগের দুটি ম্যাচ—পোর্তো ও আল আহলি-এর বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সেই খেতাব জিতেছিলেন।

এস্তেভাও শিগগিরই চেলসিতে যোগ দেবেন, তাই এটি ছিল পালমেইরাসের হয়ে তার শেষ প্রতিযোগিতা। ম্যাচের প্রথমার্ধে মেসি নিজেই তার সঙ্গে জার্সি বদল করে সম্মান জানান, আর ম্যাচ শেষে জার্সি বদল করেন লুইস সুয়ারেসের সঙ্গে।

কেন ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠ ছেড়ে গেলেন মেসি?
ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসির আচরণ নিয়ে কিছুটা গুঞ্জন তৈরি হয়। ৩৮ বছর বয়সী মেসি মাঠে গোল বা অ্যাসিস্ট করতে পারেননি। তার দল ২–০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ ১০ মিনিটে সেই লিড হারিয়ে ফেলে এবং ম্যাচ ২–২ গোলে ড্র হয়।

ফলাফল হিসেবে, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া হলো না ইন্টার মায়ামির। যদি জয় পেত, তাহলে তারা শেষ ষোলোতে মুখোমুখি হতো বোতাফোগোর সঙ্গে। কিন্তু ড্রয়ের ফলে তাদের খেলতে হবে শক্তিশালী পিএসজির বিপক্ষে—যেখানে সম্ভাব্য পরাজয়ের আশঙ্কা প্রবল।

ম্যাচ শেষে মেসি জার্সি বদল করলেও, ডাগআউটে না ফিরেই মাথা নেড়ে বিরক্তির সঙ্গে সোজা টানেলে চলে যান। কাউকে অভিনন্দন জানাননি, সমর্থকদের দিকেও তাকাননি। খেলা শেষ হতেই যেন হতাশায় বিস্ফোরিত হয়ে বেরিয়ে যান।