জানা গেছে, হাসপাতাল নির্মাণের আগে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে জনবলকাঠামো ও হাসপাতাল পরিচালনার নীতিমালার তথ্য জমা দেওয়া হয়নি। আর সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে লুটপাটের প্রতিযোগিতায় নামেন বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার আলী।
সাবেক উপাচার্য অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেন তিন শতাধিক অদক্ষ মেডিক্যাল অফিসার, নার্স ও কর্মচারী। আর হাসপাতাল নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ও মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি কিনে অর্থ আত্মসাৎ করেন প্রকল্প পরিচালক। শুরুতে দুজনের সম্পর্ক আস্থার মধ্যে থাকলেও শেষটা ছিল টানাপড়েনের।
জনবল না থাকায় ৭০ শতাংশ যন্ত্রপাতি এক দিনও ব্যবহার হয়নি। এসব যন্ত্রের মেয়াদ রয়েছে তিন বছরের কমবেশি। ফলে ব্যবহারের আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক যন্ত্রের। এদিকে যন্ত্রাংশ ত্রুটির দায় সময়কাল শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিবর্তনেরও সুযোগ নেই।
হাসপাতালের কিছু জায়গায় এসির পাইপ চুইয়ে দেয়াল ভিজে আছে। শৌচাগারের পানি ওয়ার্ড ও কেবিনে চলে আসে। বেশ কিছু ফ্লোর টাইলসে শেওলা পড়ে গেছে। পলেস্তারা ও পেইন্ট খসে পড়ছে।