চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি বিবিরহাটে ছেলের বাইক দুর্ঘটনার খবর শুনে মারা গেলেন অসুস্থ মা। শুক্রবার (১৯ জুলাই) স্ট্রোক করে হাটহাজারী সরকারহাটের একটি ক্লিনিকে মারা যান তিনি।
এর আগে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন গ্রিল ওয়ার্কশপের কর্মচারী ওবায়দুল্লাহ (২২) ও তার খালাতো ভাই সাইমন।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ডায়াবেটিসজনিত অসুস্থতার কারণে হাটহাজারী ডাক্তারের কাছে সিএনজিযোগে যাচ্ছিলেন হাসিনা খাতুন। তার ছোট ছেলে ওবায়দুল্লাহ (২২) মোটরসাইকেলে করে মায়ের সিএনজির পেছনে পেছনে আসছিলেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে আনোয়ার আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী কভার্ডভ্যানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মোটরসাইকেলটির৷ এতে ওবায়দুল্লাহ গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে, ওবায়দুল্লাহর দুর্ঘটনার খবর তার মা হাসিনা খাতুনের কানে পৌঁছালে তিনি পথেই স্ট্রোক করেন এবং হাটহাজারী সরকারহাট একটি ক্লিনিক মৃত্যুবরণ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত হাসিনা খাতুনের দুই ছেলে। ওবায়দুল্লাহ দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। তিনি গ্রীল ওয়ার্কশপে কাজ করে সংসারের হাল ধরেছিলেন।
স্থানীয় মো. মাসুদ রানা বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর আমি ওবাইদুল্লাহকে নিয়ে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠায়। তার মাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে ওবাইদুল্লাহর এক্সিডেন্ট এর কথা শুনে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং কাভার্ডভ্যানটি নিয়ন্ত্রণে আছে। এই বিষয়ে এখনো কোন মামলা হয় নি।