বাকলিয়ায় মহিউদ্দিন হত্যার মূলহোতা ‘মাদক সম্রাট’ সোবহান গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় আলোচিত মহিউদ্দিন হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও অস্ত্র সরবরাহকারী মাদক কারবারি আব্দুস সোবহানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ‘মাদক সম্রাট’ নামে পরিচিত তিনি, রয়েছে অন্তত ১৮টি মামলা।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে বাকলিয়া থানার তত্তারপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, ‘মহিউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড সোবহান দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করে শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সোবহান হত্যায় নিজ সম্পৃক্ততা ও নির্দেশনার কথা স্বীকার করেছে।’

মাদকের দখল নিয়ে রক্তারক্তি

তদন্তে জানা গেছে, বাকলিয়ার তত্তারপুল এলাকায় একচ্ছত্র মাদক ব্যবসার আধিপত্য ধরে রাখতেই মহিউদ্দিনকে হত্যা করে সোবহান ও তার সহযোগীরা। জবানবন্দিতে সোবহান স্বীকার করে, সে পরিকল্পনা করে এবং নির্দেশ দিয়ে মহিউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করায়।

গত ২৫ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে গাফফার কলোনি এলাকা থেকে মহিউদ্দিনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্ত্রী ওইদিনই বাকলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জবানবন্দিতে মাস্টারমাইন্ডের নাম

এই মামলায় গত ১ আগস্ট মো. আসিবুল হক আসিফ এবং ৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়া মো. সুমন (১৯) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যায় নিজেদের সম্পৃক্ততার পাশাপাশি সোবহানের নাম প্রকাশ করেন।

পুরনো অপরাধের পাতায় সোবহান

পুলিশ জানায়, আব্দুস সোবহান একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া অন্তত ১৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বহুল আলোচিত শাহেদ হত্যা মামলাতেও তার নাম রয়েছে।

বাকলিয়া থানার এক কর্মকর্তা জানান, ‘এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিল। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বললে হুমকি, হামলা, কিংবা মামলা খাওয়ার ভয় ছিল। স্থানীয় মাদকবাজার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছি।’