চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিনিয়র সহ–সভাপতি লুৎমিলা ফরিদ ২০২৫–২০২৬ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ক্লান্তিলগ্নে একটি সুষম বাজেট প্রণয়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তারপরেও ঘোষিত বাজেটে অনেকগুলো বিষয়ে জনমনে স্বস্তি আনবে।
বিশেষ করে নারী ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণপ্রাপ্তি সহজীকরণ, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পখাতের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ এবং ঋণ বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ১৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নির্ধারিত রাখার নির্দেশনা ইতিবাচক। প্রান্তিক পর্যায়ে সিএমএসএমই খাতে ১০ হাজার উদ্যোক্তাকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিরতণ ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ৩ হাজার নারী উদ্যোক্তাদের সাথে কর্পোরেট সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা প্রসংশনীয়। এছাড়াও নারীদের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করতে ৩০ হাজার কোটি টাকার পূণ অর্থায়ণ স্কিম গঠন ব্যবসার পরিবেশ অধিকতর উন্নয়ন করে, তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১২৫ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি জনমনে স্বস্তি প্রতিফলিত হবে। এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তিতে কর ছাড়, ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবায় কর হ্রাস, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আরো শক্তিশালী করবে এবং প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় লুৎমিলা ফরিদ আরো বলেন, সৃজনশীল নতুন উদ্যেক্তাদের জন্য (স্ট্যাট–আপ) ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ তরুণদেরকে ব্যবসা বাণিজ্যে উৎসাহিত করবে এবং কৃষিখাতে করসীমা ৫ লাখ টাকা, নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সেনেটারি ন্যাপকিনের কর হ্রাস বাজেটের ইতিবাচক দিক। সর্বোপরি বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি পূরণ ও বাজেট বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমি মনে করি। মূল্যস্ফীতি সীমিত রাখার আকাঙ্ক্ষা এবং জ্বালানি তেলের আমদানি শুল্ক হ্রাস অত্যন্ত ইতিবাচক। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হ্রাস ঘটবে এবং সাধারণ মানুষের জীনন যাত্রায় স্বস্তি আসবে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা এবং অপ্রদর্শিত অর্থ প্রতিরোধে রেজিস্ট্রেশনে করহার কমানো, প্রকৃত ব্যবসায়ীদেরকে প্রতিযোগিতার মুখে ফেলবে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দ বৃদ্ধিও বাজেটের ইতিবাচক দিক, তবে এর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।