মোঃ আকাশ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
৩১ বছর একটানা ক্ষমতা থাকার সুবাদে বীর বাহাদুর উ শৈ সিং বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের টানা ৭বারের সংসদ সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং পূর্ন মন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন। সাবেক এ মন্ত্রীর ৩৭ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক, দেয়া হয়েছে দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা। স্ত্রী মেহ্রা ও তাদের তিন সন্তান উ সিং হাই, ঘোওয়াই শৈ ওয়াং এবং ম্যা ম্যা খিং
ভেনাসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অভিযোগ রয়েছে বীর বাহাদুর উশৈ সিং এর ইশারা ছাড়া বান্দরবান জেলার গাছের পাতাও নড়েনি ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৭ বছরে। ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে পার্বত্য
মালিকানধীন বাগানের জায়গা বাস্তবায়ন করা হয়। উন্নয়নকর্মী লেলুং খুমী জানান, ‘ওনাকে সহ যারা দূর্নীতিবাজ দূর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে তাদের সকলকে তদন্ত সাপেক্ষ আইনের আওতায় এনে উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি’। দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, বান্দরবান জেলার সভাপতি অংচমং জানান, ‘বান্দরবানে সরকারের কোটি কোটি টাকা সরকারের বরাদ্ধ এসেছে, সে টাকাগুলো কোথায় গিয়েছে। আমরা অনেক জায়গা দেখেছি যেখানে যথাযথ ভাবে প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল সেখানে মানসম্মত হওয়ার কথা ছিল আমরা সেভাবে প্রকল্প আদো পাইনি’। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, দেশের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বিদেশের নেপাল ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অঢেল অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে। তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক। আবেদন মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত বীর বাহাদুর উশৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার আত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট উ শৈ সিং ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। এজন্য অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের