ঘটনার পর তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তিনি আরাফাতকে জানালে আরাফাত তার পরিবারকে জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
৯ আগস্ট, আরাফাত তার বাবা-মা, ভাই ও কথিত বোনকে নিয়ে তরুণীকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে আরাফাতের পরিবারের সদস্যরা তরুণীকে আদর-যত্ন করেন এবং তাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর তারা তরুণীকে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে দেন এবং আরাফাত তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাড়িতে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তরুণীর প্রচণ্ড পেট ব্যথা শুরু হয়। ১০ আগস্ট, মির্জাপুর শহরের একটি হাসপাতালে ডাক্তার দেখালে জানা যায় যে তার গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গেছে।
এই নির্মমতার শিকার হয়ে তরুণী গত ২ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল আদালতে আরাফাত হোসেন, তার বাবা মো. ফরহাদ মোল্লা, মা সাজেদা বেগম, ভাই অপু মোল্লা এবং কথিত বোন লাকী আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বর্তমানে মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে এবং ভুক্তভোগী তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা সমাজে এক নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে যে, কীভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে পরিচিতি থেকে শুরু করে বিয়ের প্রলোভন পর্যন্ত অপরাধীরা তাদের ফাঁদ পাতছে এবং অপরাধ ঘটাচ্ছে।