মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্রগ্রাম:
আমার বয়স যখন ৩০ ছুঁইছুঁই, তখন থেকেই আত্মীয়স্বজনের চোখে আমি হয়ে উঠলাম ‘অপরিণত’ বা ‘বেকায়দায় মানুষ’। কারণ আমি এখনো অবিবাহিত। এমনকি একবার আমার এক আত্মীয় হঠাৎ বলে উঠলেন, “বুঝলে ভাই, একটা বাচ্চারও তো সময় লাগে বড় হতে, এখনো যদি শুরু না করো, তোমার সন্তানেরা তোমার সঙ্গে হাঁটতে পারবে না, হুইলচেয়ারে চড়েই স্কুলে যাবে।”
বিয়ে যেন এদেশে একটা সামাজিক জরুরি অবস্থা। ঘরে ঘরে আলোচনা—“এই ছেলের জন্য একটা মেয়ে খুঁজতে হবে” কিংবা “মেয়েটার বিয়ে না দিলে সমাজে মুখ দেখাব কীভাবে?”
তবে বিয়ে মানেই যে সুখের ঠিকানা, তা এখনকার ডিভোর্স রেট দেখলেই বোঝা যায় না। অনেকে বিয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে বলে উঠেন, “আগে জানলে কবেই সন্ন্যাসে যেতাম।”
আর যদি বলেন—“আমি এখনো মানসিকভাবে প্রস্তুত নই”—তাহলে? বাসায় বৈঠক বসে যাবে। চাচা, ফুফু, দাদি সবাই বলবে, “তোমার ওপর ভরসা করা যায় না, তোমার জন্য বউ খুঁজে ফেলা হবে, আর তোমার পছন্দ না হলে আমরাই ঠিক করে দেব।”
বাংলাদেশে অবিবাহিত থাকা মানে—একটা অঘোষিত রাজদ্রোহ!