বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরে সিরিয়া সফরে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরে সিরিয়া সফর করছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী দামেস্কের একটি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। এ সময় তিনি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরা ছিলেন।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন মতে, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (আগের নাম টুইটার) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা একটি সামরিক বিমান থেকে নামছেন আর তাদের সবাই বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরা।
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি মতে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ নোয়েল ব্যারোট দামেস্ক সফর করছেন। স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিকদের প্রথম কোনো সফর এটা।

এই সফরে তারা সিরিয়ার বর্তমান নেতা আহমেদ আল-শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ আল-জুলানির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া এই দুই মন্ত্রী বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড, নির্যাতন ও গুমের জন্য কুখ্যাত সেদনায়া কারাগারও পরিদর্শন করবেন। সেদনায়া কারাগার আল-আসাদ পরিবারের কয়েক দশকব্যাপী শাসনের বর্বরতার প্রতীক।

আল-শারার হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী বাহিনী গত ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক দখল করে। আল-কায়েদার সঙ্গে অতীতে সম্পর্ক থাকায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ এইচটিএসকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে দেখে আসছে। তবে সিরিয়া জয়ের পর গোষ্ঠীটির সঙ্গে দ্রুতই কূটনৈতিক যোগাযোগ জোরদার করে পশ্চিমা দেশগুলো।

তারই অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশ জার্মানি ও ফ্রান্সের শীর্ষ কূটনীতিকরা সিরিয়া সফর করছেন। শুক্রবার সকালে দামেস্কে অবতরণের পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক এক এক্স বার্তায় বলেন,
ফ্রান্স ও জার্মানি সিরিয়ার জনগণের পাশে রয়েছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সিরিয়ানদের সেবায় শান্তিপূর্ণ উত্তরণের জন্য সমর্থন জানিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ইইউ ও সিরিয়ার মধ্যে একটি নতুন রাজনৈতিক সূচনার ইঙ্গিত দেন বেয়ারবক। বলেন, ‘আমরা জানি এইচটিএস আদর্শগতভাবে কোথা থেকে এসেছে, অতীতে এটি কী করেছে। তবে আমরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সংযম ও বোঝাপড়ার আকাঙ্ক্ষার কথাও শুনি ও দেখি।’

তিনি আরও বলেন, একটি নতুন সূচনা তখনই ঘটতে পারে যখন নতুন সিরীয় সমাজ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমস্ত জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর সকল সিরিয়ান, নারী ও পুরুষকে স্থান দেয় এবং অধিকার ও সুরক্ষা প্রদান করে।