ভারত তার উত্তর-পূর্ব অংশের সাত রাজ্য নিয়ে বেশ পেরেশানিতে থাকে। একেতো অনুন্নত অঞ্চল, তারপর যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক রকমের নড়বড়ে। এখানে থ্রি-এম (মনিপুর, মিজোরাম ও মেঘালয়) এবং নাগাল্যান্ড মিয়ানমারের চিন প্রদেশসহ নতুন খৃস্টান রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। আসামেও বিদ্রোহী আছে। আরো উত্তরে অরুনাচল চীনের তিব্বতের কাছে যেখানে চীন প্রায়শই চোখ রাঙায়। শিলিগুড়ি করিডোর তো আজীবনের জ্বালা।
এই অঞ্চলে সরবরাহ সেবা নিশ্চিত এবং সেনা তালাফির জন্য একটি বা দুটি মেইন সাপ্লাই রুটের ভীষণ প্রয়োজন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সাথে একটি করে প্রজেক্ট হাতে নিয়ে অনেক দুর কাজও করে ফেলেছিল।
বাংলাদেশে মোফতে (মানে নিজের পকেটের টাকা লাগেনি) ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে পথকে যুক্ত করে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরকে কাজে লাগিয়ে সাত রাজ্যে সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে চুক্তি করে এবং কাজ এগিয়ে নিয়ে যায়। দ্বিতীয়টি হলো কোলকাতা বন্দর হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিত্তেওয়ে বন্দর হয়ে নদী ও সড়ক পথে ভারতের নাগাল্যান্ডে প্রবেশ করে সরবরাহ নিশ্চিত করবে। এটা কালাদান মাল্টিমোডাল প্রজেক্ট নামে পরিচিত।
ভারতের জন্য হতাশার ব্যাপার হলো বর্তমানে দুই দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানে বাংলাদেশে আগস্ট বিপ্লব ও মিয়ানমারে আরাকান আর্মি কর্তৃক জান্তা সরকারের পতন ফলে দুইটি প্রোজেক্টই মুখথুবড়ে পড়ে আছে। এতে ভারতের আর্থিক ক্ষতি ও সরবরাহ সেবার চরম বিঘ্ন ঘটছে। ভারত এখন আত্মতুষ্টির জন্য প্রোপাগান্ডা মেশিনের উপর ভর করছে। এই দুই প্রোজেক্ট নিয়ে কোনো কথা বলে না।
