দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে স্থানীয় লোকজন ভিডিও ধারণ করায় পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) ক্ষেপে অশালীন ভঙ্গি করেন বলে অভিযোগ। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দুই সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর টহল দল, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও পুলিশ কর্মকর্তারা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযানে সাতটি ইয়াবাসহ সাধন চন্দ্র মোহন্ত (৪০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। তিনি বইদর গ্রামের অনন্ত চন্দ্র মোহন্তের ছেলে। পুলিশের ওই দুই সদস্য হলেন ঘোড়াঘাট থানার এসআই নজরুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পরিতোষ কুমার রায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাজ্জাত হোসেনের ভাষ্য, বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে এক ব্যক্তিকে ইয়াবাসহ আটক করেন। পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো গণনা করছিলেন। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা সেখানে উপস্থিত হয়ে পুলিশের অভিযান দেখছিলেন। কেউ কেউ ভিডিও করছিলেন। এতে এসআই নজরুল ইসলাম ক্ষেপে গিয়ে জনতার উদ্দেশে অশ্লীল কথা বলেন। এ সময় একজন দৃশ্যটি মুঠোফোনে ধারণ করার চেষ্টা করেন। তখন তিনি ক্ষেপে নিয়ে অশ্লীল ভঙ্গি করেন, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন স্থানীয় লোকজন। পরে জনতা পুলিশের ওই দুই সদস্যকে পাশের একটি মার্কেটের গুদামে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
খবর পেয়ে ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান ও সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হলে স্থানীয় লোকজন শান্ত হন।
ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের পর স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল জনতা পুলিশের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়ায়। স্থানীয় জনতা বলেছে, পুলিশ নাকি তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। এটি আমরা তদন্ত করে দেখব।’ অভিযানে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। তাঁকে আজ শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।