Search
Close this search box.

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পেছানোর অনুরোধ

নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কর্মসূচি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই অনুরোধ জানান।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ৯ তারিখ সকাল থেকে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মূল প্রোগ্রাম শুরু হচ্ছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন প্রায় ৫০টি দেশের ৬০০ জনের বেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকারী। ৯ এবং ১০ তারিখে ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মূল প্রোগ্রামের পাশাপাশি ১১, ১২ ও ১৩ এপ্রিল বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন কোম্পানি, ইপিজেড, স্পেশাল ইপিজেড, হাইটেক পার্ক এবং বিভিন্ন স্টার্টআপ ভিজিট করবেন।

তিনি আরও লিখেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর জাতিগত নিধন এবং গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ আয়োজন করা হয়েছে ১২ এপ্রিল। যেহেতু ফিলিস্তিন আমাদের অন্তরে অত্যন্ত সংবেদনশীল জায়গা দখল করে আছে, আমার ধারণা এই মার্চে লাখ লাখ লোক হবে। আমরা এই প্রতিবাদ সমাবেশের মহৎ উদ্দেশ্যকে সম্মান করি।

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী লিখেছেন, তথাপি একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সম্মিলিত প্রতিবাদের অডিয়েন্স মূলত আন্তর্জাতিক রাজনীতি, কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি নয়। এমন অবস্থায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি, তাদের স্পেশাল ইপিজেড, ইপিজেড, হাইটেক পার্ক এবং স্টার্টআপ ভিজিটের বিষয়গুলো সার্বিকভাবে বিবেচনা করে মার্চ ফর গাজা প্রোগ্রামটি ১২ তারিখের পরিবর্তে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না, এমন বিবেচনার জন্য বিনীতভাবে আয়োজকদের অনুরোধ করি। এক সপ্তাহের মধ্যে ফিলিস্তিন বিষয়টি কোনোভাবেই হারিয়ে যাবে না।

তিনি লিখেছেন, ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা ইজরায়েলি বর্বরতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অত্যন্ত দরকারি। পাশাপাশি দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, ব্যবসা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ সৃজন করাও জরুরি।

সবশেষে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ সফল হোক।