‎মীরসরাইয়ে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

মীরসরাইয়ে ফারজানা আক্তার কলি (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার একে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করছে।

‎সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পরাগলপুর গ্রামের নুর আহম্মদ সওদাগর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

‎এ সময় খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

‎নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ ফারজানা আক্তার কলি বিয়ের পাঁচ বছর পার হলেও সন্তান না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর পরিবারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তার প্রবাসী স্বামী ওমর ফারুক ওমান থেকে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি কলির বাবার বাড়ির সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেন।

 

সোমবার রাত ৯টার দিকে কলির শাশুড়ি সিএনজি অটোরিকশাযোগে তাকে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে কিছুক্ষণ পর কলির শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন তিনি।

‎এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মীরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমেদ, জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আবদুল হালিম।

‎নিহতের মা আমেনা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার শাশুড়ি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

‎এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহিম ফেরদৌস বলেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফারজানা আক্তার কলি নামে এক গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় তার শাশুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ইসিজি করার জন্য তার পরনে থাকা স্বর্ণালংকার খুলতে বললে নিহতের শাশুড়ি সব স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যান। পরে আমরা জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিই।’

্জোরারগঞ্জ থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) হান্নান আল মামুন বলেন, ‘লাশ সুরতহালে গলার পেছনে দাগ দেখা যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকলেও নিহতের শ্বশুরকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটন করা যাবে