মুখে ছিল কৃষি উন্নয়নের ফুলঝুরি, বখরা পেতেন বাপ-বেটা

কৃষিবিদ পেশাজীবী ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর কৃষি উন্নয়নের নানা পরিকল্পনার কথা শোনাতেন। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ঠিক তার উল্টো। সজ্জন ব্যক্তির মুখোশের আড়ালে তার দুর্নীতির কদর্যরূপ অনেকেই দেখছেন। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত কৃষিমন্ত্রী ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক।কৃষিতে বেশি লুটপাট হয়েছে রাজ্জাক মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালেই। অনুগতদের দিয়ে সব প্রকল্পেই ভাগ বসাতেন। তার ছেলেও রেজুয়ান শাহরিয়াম সুমিত কৃষি সেক্টরের ঠিকাদারি কাজ ভাগবাটোয়ারায় জড়িত ছিলেন। ছেলে ছাড়াও তার ব্যক্তিগত সহকারী মাকসুদুর রহমান মাসুদও কৃষির অন্য একটি অংশ দেখাশোনা করত।

এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের এপিএ পুলের বিশেষজ্ঞ সদস্য কৃষিবিদ হামিদুর রহমানও ছিল রাজ্জাকের দুর্নীতির সঙ্গী। ছেলে সুমিতের ব্যাবসায়িক অংশীদার ছিল রণজিৎ। টার্টেল নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছিল রণজিতের। আব্দুর রাজ্জাকের সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ঠিকাদারি পেত টার্টেল।

 

নির্ধারিত মূল্যের ১০ গুণ ব্যয় দেখিয়ে টাকা তুলে নিত। ‘মন্ত্রীর ছেলের ব্যবসা’ এ কারণে কেউ প্রতিবাদ করারও সুযোগ পেত না।

মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সহকারী মাকসুদ আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ নিয়ে সেই কাজ না করিয়ে বিল উত্তোলনের কাজ করত মাকসুদ। বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ জমা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে।

সূএে কালের কণ্ঠ