ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সম্প্রতি বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানে প্রাসঙ্গিক হয়েছেন কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
দেশটিতে দাবি উঠেছে পাকিস্তানের এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়া নিয়েও।
এদিকে কারাগারে থাকাবস্থায়ই হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদির আগ্রাসন ও যুদ্ধপ্রবণ মনোভাবের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, মোদির আগ্রাসন ও তাদের শত্রুতা পাকিস্তানের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে আটক আছেন পাকিস্তানের আলোচিত এই রাজনীতিবিদ। সেখান থেকেই মোদি ও ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে।
কারাগারে থেকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুদ্ধপ্রবণ মনোভাবের নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইমরান খান বলেছেন, আমরা পাকিস্তানের বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করলেও মোদির যুদ্ধপ্রবণ মনোভাব এবং তাদের আঞ্চলিক শান্তির হুমকির বিরুদ্ধে আমরা সকল পাকিস্তানি ঐক্যবদ্ধ আছি। আমরা মোদির বিপজ্জনক উচ্চাকাঙ্ক্ষার তীব্র নিন্দা জানাই।
সাবেক ওই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে একটি ভুয়া ফর্ম-৪৭ এর মাধ্যমে গঠিত অবৈধ সরকার দেশের জনগণকে বিভক্ত করেছে। কিন্তু মোদির সাম্প্রতিক আগ্রাসী আচরণ উল্টো দেশের জনগণকে জাতীয় স্বার্থে একত্রিত করেছে।
পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় নিহত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ইমরান খান। বলেছেন, আত্মসমালোচনা এবং তদন্তের পরিবর্তে, মোদি সরকার আবারও পাকিস্তানের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা ঘটনার সময়ও আমরা সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু ভারত কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। আমি তখনই বলেছিলাম, ভবিষ্যতে আবার এমনই ঘটবে। এখন পহেলগাঁও ঘটনার পর সেটাই দেখা যাচ্ছে।