রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের নামে ৬২ মামলা, সাজা হয়েছে একটিতে

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখল, মাদক কেনাবেচা, ছিনতাই, হত্যাসহ সুনির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগে গত চার বছরে ৬৬টি মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে ৬২টি মামলায় বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৩১২ জন সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ১০টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে মাত্র একটিতে পাঁচজনের সাজা হয়েছে। বর্তমানে ৫২টি মামলা বিচারাধীন থাকলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের তথ্য মতে, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ৬৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তদন্ত শেষে ৬২টি মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

এতে ৩১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও অন্য দুটি মামলা তদন্তাধীন। বিচার শেষে ১০টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি মামলায় পাঁচজনের সাজা হয়েছে।

তবে পাঁচটি মামলায় খালাস ও চারটি মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

সূত্র মতে, ঢাকা মহানগরে ১৫টি কিশোর গ্যাংয়ের ৪৭৭ জন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে তেজগাঁও বিভাগে সবচেয়ে বেশি, ১০টি কিশোর গ্যাংয়ে ১৬৫ জন সদস্য শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া মিরপুরে ১০৫ জন, উত্তরায় ৮৯ জন, লালবাগে ৪১ জন, মতিঝিলে ৩৭ জন, রমনায় ৩২ জন ও ওয়ারীতে আটজনকে শনাক্ত করা রয়েছে। গুলশান বিভাগে কোনো কিশোর গ্যাংয়ের তথ্য মেলেনি।

কিশোর গ্যাং সদস্যদের শনাক্ত করার পর ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ৩১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর বিভাগে ১৯টি, উত্তরায় ১৫টি, তেজগাঁওয়ে ১১টি, মতিঝিলে ৯টি, লালবাগে সাতটি, রমনায় চারটি ও ওয়ারীতে একটি মামলা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে মামলা হয়। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এসব মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। অনেক মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা হয়েছে। কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’