মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্রগ্রাম:
রোযা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম, যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। এটি আত্মশুদ্ধির মাধ্যম এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি বিশেষ সুযোগ। কুরআন ও হাদিসে রোযার গুরুত্ব, ফজিলত ও রহমতের বিষয়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোযার গুরুত্ব ও ফরজ হওয়ার বিধান
রোযার ফরজ হওয়ার বিষয়টি কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে:
আল্লাহ বলেন:
“হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।”
(সূরা আল-বাকারা: ১৮৩)
এ থেকে বোঝা যায়, রোযার মূল লক্ষ্য হচ্ছে তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করা।
হাদিসে রোযার ফজিলত
১. গুনাহ মোচন ও জান্নাতের প্রতিশ্রুতি:
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
“যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় রমজানের রোযা রাখে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (বুখারি, মুসলিম)
২. রোযাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা:
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
“জান্নাতে একটি দরজা আছে, যার নাম ‘রাইয়্যান’। সেই দরজা দিয়ে কেবল রোযাদারগণ প্রবেশ করবে, তাদের ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করবে না।” (বুখারি, মুসলিম)
৩. দোয়া কবুলের বিশেষ সুযোগ:
“তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো প্রত্যাখ্যান হয় না: রোযাদারের ইফতারের সময়, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, এবং মজলুমের দোয়া।” (তিরমিজি)
রোযার ফজিলত ও উপকারিতা সংক্ষেপে:
গুনাহ মোচন হয়
আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়
জান্নাতের বিশেষ দরজায় প্রবেশের সুযোগ পাওয়া যায়
দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বাড়ে।