মোহাম্মদ ইউছুপ, দৈনিক চট্রগ্রামের কন্ঠ:
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর হলো ইসলামের অন্যতম বরকতময় রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই রাতের মর্যাদা কুরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
📜 শবে কদরের ফজিলত (কুরআন থেকে দলিল)
📖 আল্লাহ বলেন:
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
“নিশ্চয়ই আমি কদরের রাতে কুরআন অবতীর্ণ করেছি। তুমি কি জানো, শবে কদর কী? শবে কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।” (সুরা আল-কদর: ১-৩)
📖 আরও একটি আয়াত:
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ
“নিশ্চয়ই আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে।” (সুরা আদ-দুখান: ৩)
📜 শবে কদর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস
✅ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:
“যে ব্যক্তি ঈমান ও নেক নিয়তে শবে কদরের রাত ইবাদতে কাটায়, তার আগের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (বুখারি: ২০১৪, মুসলিম: ৭৬০)
✅ আরও একটি হাদিস:
“তোমরা শবে কদরকে রমজানের শেষ দশ রাতের বিজোড় রাতগুলোতে তালাশ করো।” (বুখারি: ২০১৭, মুসলিম: ১১৬৯)
🌙 শবে কদরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
🔹 এ রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
🔹 আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন।
🔹 এটি হাজার মাসের (৮৩ বছর ৪ মাস) ইবাদতের চেয়েও বেশি সওয়াবপূর্ণ।