দেশের তিন জেলায় ৬০ কিলোমিটার বা তার অধিক গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (১১ মে) বিকেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ দুপুর ৩টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও রাজশাহী জেলার কিছু স্থানে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বা তার অধিক গতিবেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য নাম ‘শক্তি’। আগামী ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
রোববার কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আবহাওয়াবিদ পলাশ তার স্ট্যাটাসে বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে মে মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘শক্তি’ (শ্রীলংকার দেওয়া নাম)।
স্ট্যাটাসে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানের ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশি।
এখনো ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয়নি। তবে বঙ্গোপসাগরে যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যেমন যাচ্ছে, এতে করে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই সবাইকে আগাম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সময়মতো প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।