চার মাস পরে আগামী ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার দেশে ফেরার নির্ধারিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নির্বাচিত কেবিন ক্রুদের চূড়ান্ত তালিকা থেকে শেষ মুহূর্তে দুজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলামকে সরানোর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার কথা জানিয়েছে বিমানের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
আগামীকাল রবিবার (৪ মে) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ২০২ ফ্লাইট।
এতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির শীর্ষ নেতারাও থাকবেন।
আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুক্রবার দুপুরে ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগের সংশ্লিষ্ট ইউনিট চার কেবিন ক্রুর নাম চূড়ান্ত করেছিল। তারা হলেন—চিফ পার্সার নিশি, ফ্লাইট পার্সার কসমিক ও বিপোন এবং জুনিয়র পার্সার রিফাজ। তবে শুক্রবার রাতেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কসমিক ও বিপোনকে সরিয়ে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয় ফ্লাইট পার্সার ডিউক ও ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আনহারা মারজানকে।
বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লিখিত অভিযোগগুলো আমলে নিয়েই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম বলেন, যেকোনো ফ্লাইটে কাউকে ডিউটি না দেওয়া কিংবা রিশিডিউল হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। এমন ঘটনা নিয়মিতই ঘটে। প্রতিবেদনেই অনেক সময় সরানোর সুপারিশ আসে।
সে অনুযায়ী বিমান ব্যবস্থা নেয়।
তবে বিমানের একাধিক সূত্র জানায়, কসমিক এর আগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা করতেন এবং বিভিন্ন সরকারি সুবিধা ভোগ করতেন। তার বিরুদ্ধে ১৮ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং একাধিকবার শাস্তিমূলকভাবে গ্রাউন্ডেড হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে জুনিয়র পার্সার বিপোন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তিনি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট ফুল দেওয়া, শেখ কামালের জন্মদিনে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন এবং বিমানে শেখ রাসেল দিবস পালনসহ নানা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম সংগঠক হিসেবে পরিচিত।