Search
Close this search box.

সাতকানিয়ায় ‘স্ত্রীর মামলায় পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামী জেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক।

 

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিয়ের একমাস না যেতেই স্ত্রীকে মারধর ও যৌতুকের টাকার জন্য বারবার চাপ প্রয়োগের ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার ( ২৭মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম নগরী থেকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ রেয়াজুদ্দিন বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম।

তিনি বলেন, সাতকানিয়া থানার ১৫ নং ছদাহা ইউনিয়নের বাসিন্দা উন্মে সাদিয়া নামে এক গৃহবধূ তার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৮ মে ঢেমশা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল কাইয়ুমের ছেলে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে লোহাগড়া থানার পূর্ব কলাউজান ৭ নম্বর হরিণা ওয়ার্ডের আবদুল আলমের কন্যা উন্মে সাদিয়ার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।

বিয়ের এক মাস না যেতেই ড্রাম ট্রাক কেনার টাকা চেয়ে স্ত্রীকে চাপ দেন বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য। কষ্ট হলেও মেয়ের সংসার টিকিয়ে রাখতে,মেয়ের ভবিষ্যৎ সুখের কথা চিন্তা করে অসহায় পিতা ঋণ করে ৩ লাখ টাকা ব্যবস্থা করে মেয়ের জামাইকে দেন গাড়িটি কেনার জন্য। কিছুদিনপর নতুন করে আবারও টাকার জন্য চাপ সৃষ্টিসহ স্ত্রীর উপর চালাতে থাকেে শারীরিক নির্যাতন। নিরুপায় হয়ে এসব ঘটনা বাপের বাড়ির লোকজনকে জানালে পারিবারিকভাবে বৈঠকও কোনো সুরাহা মিলেনি।

মামলার বাদী উন্মে সাদিয়া (২০) বলেন, বিয়ের পর থেকে টাকার জন্য মারধরেও থামেনি তার নির্যাতন। এক বিছানায় শুয়ে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে কথাও বলে আমার সামনে। এসব প্রতিবাদ করলে মারধরের শিকার হতে হয় আমাকে৷ অবশেষে শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানালে আমার স্বামী আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিই।

তিনি আরও বলেন, বাপের বাড়িতে কয়েক মাসপার হলেও সে আর কোনো খোঁজ নেননি। আমি নিজ থেকে ফোন করতাম, ফোনে সে আমার টাকা জন্য চাপসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

মেয়ের পিতা আবদুল আলম বলেন, অনেক কস্টে মেয়েটা বিয়ে দিলাম সুখের আশায়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর নির্যাতনের শিকার আমার মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করে। এসব যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আইনের আশ্রয় নিয়েছি আমরা।