বৃহস্পতিবার রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন এসআই তৌফিক হাসান।
পুলিশ রিমান্ডের আবেদন না করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার তিন জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই তৌফিক হাসান বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম জামসেদ আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতীন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)।
এর আগে এসআই তৌফিক হাসান গ্রেপ্তার তিনজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করার কথা বললেও আদালতের আদেশের পর তিনি বলেন, “আজ রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। পরে, হয়ত আগামীকাল তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।”
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর রাজাবাজারসহ কয়েকটি এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)।
রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়তেন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
বুধবার বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজার পর সাম্যের মরদেহ গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সাম্য হত্যার ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে প্রশাসন।