(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি : রতন দাস
বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর স্বীকৃতিস্বরূপ সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) সম্মাননা পেলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা উদ্যোক্তা মোহাম্মদ নেছার উদ্দীন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ক্যাটাগরিতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সিআইপি (এনআরবি) ২০২৪-পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
পুরস্কারটি বুধবার আন্তর্জাতিক অধিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল হাত থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন তিনি।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের হেটিখাইন গ্রামের মরহুম সফর আলীর দ্বিতীয় ছেলে মোহাম্মদ নেছার উদ্দীন, ১৯৯৩ সালে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বিদেশে পাড়ি জমান তিনি, প্রথমে অন্যের অধীনে কাজ করলেও বেশি দিন যেতে না যেতেই নিজেই খুলে বসেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।তার ৫ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে বর্তমানে প্রায় হাজারেরও অধিক লোকজন কাজ করছে নিয়মিত। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মানবিক কাজ ও সেবামূলক কাজে যুক্ত রয়েছেন তিনি। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মসজিদ স্থাপন ও মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। ওমান প্রবাসী উদ্যোক্তা মোহাম্মদ নেছার উদ্দীনের কল্যানে শত শত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রবাসে বসবাস করে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরন করে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন যা সুন্দর দেশ গড়তে অনবদ্য ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জিত হয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে। বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, প্রবাসী ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এনআরবি)’ নীতিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী সিআইপি (এনআরবি) নির্বাচন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বাজারে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করছে এই উদ্যোক্তার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামী ৫ বছরের মধ্যে অন্তত আরও ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন বলে ঘোষণা দেন মোহাম্মদ নেচার উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।