ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনার পর সৌদি আরব থেকে ফেরার পথে পাকিস্তানের আকাশপথ এড়িয়ে গেছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বহনকারী উড়োজাহাজ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) উড়োজাহাজটি আরব সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে গুজরাট দিয়ে ভারতের আকাশে প্রবেশ করে। যদিও সৌদিতে যাওয়ার সময় বরাবরের মতো তিনি প্রতিবেশী দেশটির আকাশপথ ব্যবহার করেছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়।
এর আগে, দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হন মোদি। এরপরই কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবরে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলার প্রেক্ষিতে মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে পরদিনই দেশে ফিরে আসেন। তবে ফেরার পথে মোদির রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যায়।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদি মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরব যাওয়ার পথে পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু ফেরার সময় সেই পথ এড়িয়ে তার উড়োজাহাজ আরব সাগরের ওপর দিয়ে সোজা ভারতের দিকে মোড় নেয়। পরে গুজরাট দিয়ে ভারতের আকাশে প্রবেশ করে এটি উত্তরের দিকে উড়ে নয়াদিল্লিতে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে নেমেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মোদি। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সফরসূচি অনুযায়ী জানা যায়, বুধবার রাতে তার নয়াদিল্লি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীর হামলার ঘটনার পরই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। খবর পাওয়ামাত্রই সৌদি থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
পাশাপাশি কাশ্মীরের সুরক্ষাব্যবস্থা তত্ত্বাবধানের নির্দেশ দেন। শুধু তা-ই নয়, শাহকে কাশ্মীরে পৌঁছানোর কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই শ্রীনগরে পৌঁছে সেনা, আধাসেনা, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ।