হাতে-পায়ে বেড়ি পড়া অবস্থায় যুবলীগ নেতার মৃত্যু: পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ

হাতে-পায়ে বেড়ি পড়া অবস্থায় যুবলীগ নেতার মৃত্যু: পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ

স ম জিয়াউর রহমান :

খুলনা জেলা কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন খুলনা মহানগর ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন জনি। তবে তার পরিবার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং এক পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, মৃত্যুর সময়ও তার হাতে ও পায়ে বেড়ি পরানো ছিল বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে।

দলীয় সূত্র ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জয়নাল আবেদীন জনিকে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আটক করা হয়েছিল। কারাগারে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ তাদের। নির্যাতনের ফলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি বলে দাবি করা হয়েছে।

জনির এক সহকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তিনি যখন গুরুতর অসুস্থ, তখনও তার হাত-পায়ের বেড়ি খোলা হয়নি। একজন অসুস্থ মানুষকে এভাবে শেকলবন্দী করে রাখা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।”

পরিবারের অভিযোগ, জনিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে না নিয়ে কারাগারে ফেলে রাখা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণেই তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অনেকেই শেকলবন্দী অবস্থায় একজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুকে ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন।

তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বলেছেন, “আমরা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। অবিলম্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।” জয়নাল আবেদীন জনির এই মৃত্যু কারাগারে বন্দিদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।