লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে হিন্দু নারীকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রামগতি পৌরসভার কর্মী মহিন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার (৪ মে) রাতে র্যাব-৩ ও র্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মহিনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার রামগতি থানায় সোপর্দ করে। আজ মঙ্গলবার মহিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ২৯ এপ্রিল উপজেলার রামগতি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরসেকান্তর গ্রামে মঞ্জু রানীকে কুপিয়ে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটে।
পরদিন তিনি বাদী হয়ে রামগতি থানায় মহিনকে আসামি করে একটি ডাকাতি মামলা করেন।
মহিন ওই এলাকার তোফায়েলর ছেলে। তিনি রামগতি পৌরসভা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী মো. সোহেলের হয়ে কাজ করতেন।
গত রবিবার রাতে র্যাব-৩ ও র্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে মহিনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার রামগতি থানায় সোপর্দ করে। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল চরসেকান্দর গ্রামের নিজ বাড়ির পূজার ঘরে মঞ্জু রানীর মা সান্ধ্যকালীন পুজো দিচ্ছিলেন। ওই সময় মহিন ঘরে ঠুকেই তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মঞ্জু রানীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন।
এরপর জোরপূর্বক মহিন মঞ্জু রানীর গলার চেইন কানের দুল ও হাতের আংটি নিয়ে পালিয়ে যান। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরদিন ৩০ এপ্রিল মঞ্জু রানী মহিনকে আসামি করে রামগতি থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন।
রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মহিন ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ সময় ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।