৪১ ওয়ার্ডে হবে ৪১টি খেলার মাঠ ও পার্ক: সিটি মেয়র

৪১ ওয়ার্ডে হবে ৪১টি খেলার মাঠ ও পার্ক: সিটি মেয়র

মাদকমুক্ত, সুস্থ ও কর্মক্ষম প্রজন্ম গড়তে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৪১টি খেলার মাঠ ও পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। নগরীর শিশু-কিশোরদের সুস্থ বিনোদনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে মাঠ ও পার্ক অপরিহার্য। আমাদের সন্তানদের শরীরচর্চা ও মানসিক বিকাশের জন্য নিরাপদ খেলার জায়গা দরকার। এজন্য নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ ও পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন। চসিকের প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে উন্নয়নাধীন হালিশহর বিডিআর মাঠ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। চসিক মেয়র বলেন, যুবসমাজকে যদি মাদক থেকে দূরে রাখতে হয়, তাহলে তাদের বিকল্প কর্ম ও বিনোদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও পারিবারিক বিনোদনের মাধ্যমে আমরা একটি মানবিক ও প্রাণবন্ত নগরী গড়ে তুলতে চাই।

চসিক মেয়র জানান, এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ফিরোজ শাহ পার্ক ও মাঠ, ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডের মহসিন কলেজ মাঠ, ২৭ নং আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ, ২৬ নং বহুরুপী মাঠ, ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া মাঠ, ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের বিডিআর মাঠ, হালিশহর শিশু পার্ক ও মাঠ এবং ২৫ নং এইচ ব্লক মাঠ উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে চসিক। তিনি আরও বলেন, প্রকৌশল বিভাগ ধাপে ধাপে সব ওয়ার্ডে মাঠ ও পার্ক নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করবে। আমরা চাই প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে হাঁটতে, খেলতে ও আনন্দ করতে পারুক, যেন প্রতিটি ওয়ার্ড হয়ে ওঠে সুস্থ নগরজীবনের প্রতীক।

মেয়র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাঠ পরিদর্শন শেষে চলমান উন্নয়নকাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নির্দেশনা দেন এবং মাঠগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন হালিশহর ফ্রেন্ডস ইউনিক সোসাইটির ( হাফুস) সভাপতি ফরিদ আহমেদ বাবু, সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নান্নু চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দীন, মেয়রের ক্রীড়া প্রতিনিধি আবদুল আহাদ রিপনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে চসিক মেয়রের উদ্যোগে হালিশহর বিডিআর মাঠের সংস্কার কাজ শুরু হয়। মাঠের চারপাশে বয়স্কদের হাঁটা ও ব্যায়ামের জন্য একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মাঠটি সমান ও উঁচু করে তাতে ঘাস রোপণ করা হয়েছে, যাতে স্থানীয়রা খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য জায়গাটি ব্যবহার করতে পারেন।