আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা না কাটলেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনের রোডম্যাপের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, সারা দেশে নির্বাচনী এলাকায় নেতাদের গণসংযোগ এবং সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে এক ধরনের নির্বাচনী আমেজ তৈরি হচ্ছে। চলতি ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সারা দেশের ইউনিয়ন থেকে জেলা-মহানগর পর্যন্ত কমিটি গঠনের কাজ। আগামী তিন মাস এই কার্যক্রম চলবে। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সাংগঠনিক এই পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের তালিকা ধরে প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মৃত্যু এবং বার্ধক্যজনিত কারণে দলের অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ওই সব আসনে ওই নেতাদের স্ত্রী-সন্তানরা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করার সঙ্গে জড়িত একজন নেতা বলেন, এবারের নির্বাচনে ৫০টির বেশি আসনে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। আর তরুণ প্রার্থীর সংখ্যা হতে পারে শতাধিক। এ তালিকায় ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছেন এমন প্রার্থীও থাকছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমাদের এক ধরনের প্রস্তুতি সব সময় থাকে। ফলে আগামী মাসেও যদি নির্বাচন হয়, তাহলেও আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।
সূত্রের কালের কন্ঠ