Search
Close this search box.

চট্টগ্রামে টিভি উপস্থাপকের যৌতুকবিহীন বিয়েতে খেজুর দিয়ে আপ্যায়ন

চট্টগ্রামে যৌতুকবিহীন বিয়ে করে সাড়া ফেলেছেন সি-প্লাস টিভির উপস্থাপক মাওলানা কারি মোহাম্মদ আরমানুর রহমান। ব্যতিক্রমী ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিল না কোনো বরযাত্রী এবং ভূরিভোজের আয়োজন। বিয়ে শেষে উপস্থিত লোকজনদের আপ্যায়ন করা হয় খেজুর ও ফলমূল দিয়ে।

শুধু তাই নয়, আকদ শেষেই কনেকে পরিশোধ করা হয় মোহরানার ৬ লাখ টাকা। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসাহ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের পটিয়া মডেল মসজিদে এ ব্যতিক্রমী বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। কনে পারভীন আক্তার কলি বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের নার্সিংয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়েকে সহজ করতে এবং কনের পরিবারকে চাপ না দিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার জনপ্রিয় আইপি টিভির উপস্থাপক কারি মোহাম্মদ আরমানুর রহমান।

কনের বড় ভাই মো. সোহাগ বলেন, আমার বাবা নেই। চার বোনের মধ্যে শুধু এক বোনের বিয়ে হয়েছে। তিন বোনই অবিবাহিত। এরই মধ্যে পারিবারিকভাবে কলিকে দেখতে এসে বরপক্ষের পছন্দ হয়। তাদের কোনো দাবি ছিল না। তারপরও আমরা মনে করেছিলাম আমাদের সাধ্যমতো তাদের সংসারের জন্য আসবাবপত্র এবং ফার্নিচার দিতে হবে, বরপক্ষের লোকজন খাওয়াতে হবে; কিন্তু এসবের কোনো কিছুতেই বোনজামাই রাজি হননি। শুধু তাই নয়, বিয়ে শেষে যে খেজুর ও ফলমূল আপ্যায়ন করা হয়েছে তাও বর নিয়ে এসেছিলেন। নগদে পরিশোধ করেছেন মোহরানার টাকাও।

কারি মোহাম্মদ আরমানুর রহমান বলেন, ইসলাম যৌতুককে হারাম করেছে এবং নারীকে দিয়েছেন অধিক সম্মান। কিন্তু ছোট থেকে আমাদের এলাকায় সামান্য দেনা-পাওনার অজুহাতে অনেক বিয়ে ভেঙে যেতে দেখেছি। দীর্ঘদিনের সংসারও ভেঙে গেছে। এ কারণে আমি সব সময় যেখানেই কথা বলার সুযোগ পেয়েছি সেখানেই যৌতুক, বরযাত্রী ও অতিরিক্ত মোহরানার বিরোধিতা করেছি। কনের পরিবারকে চাপ না দিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দিন দিন সমাজে যৌতুক প্রথা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত মোহরানা নিয়ে দর কষাকষি হচ্ছে। এতে বিয়ের মতো একটি সহজ সম্পর্ককে আমরা কঠিন করে ফেলছি এবং পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ছি। সমাজের সবার এ ধরনের অসঙ্গতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।

মাওলানা কারি মোহাম্মদ আরমানুর রহমান সি-প্লাস টিভির ইসলামী বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ছাড়াও ইসলামী ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সাধারণ কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি জামে মসজিদে খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।