Search
Close this search box.

ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের শতবর্ষের অংশীদারত্ব চুক্তি

রাশিয়ার সঙ্গে চলমার যুদ্ধের মাঝেই ইউক্রেনের সঙ্গে ১০০ বছরের কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি করল যুক্তরাজ্য। কিয়েভ সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।

ইউরোপীয় সমর্থনের অংশ ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় তিন বছরের যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহ্য করতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি হিসেবে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাজ্য। এ ঘোষণা এমন সময়ে এসেছে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প আগে থেকেই ইউরোপে আমেরিকার সামরিক ব্যয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারের শুরু থেকেই ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত অবসান ঘটানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন।

কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সময় স্টারমার বলেন, ‘আজ কিংবা আগামীকাল নয়, এই বছর বা পরের বছর নয়, বরং ১০০ বছর ধরে আমরা আপনার পাশে আছি। এই ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ইউক্রেন আবার মুক্ত

এবং সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে।’ তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।

স্টারমার বলেন, এই ঐতিহাসিক শতবর্ষী চুক্তি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, বিশেষ করে বাল্টিক সাগর, কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরে রুশ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি প্রকল্প। যেমনÑ ড্রোনের উন্নয়ন, যা যুদ্ধের উভয় পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে।

এ ছাড়া চুক্তিতে রাশিয়া দ্বারা দখলকৃত ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানির চিহ্নিতকরণের একটি ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইউক্রেনের পশ্চিমা সমর্থন নিয়ে ভবিষ্যতে ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বরাবরই ক্ষুব্ধ। ইউক্রেনের ওপর প্রভাব বিস্তার করার আকাক্সক্ষা পুতিনের এখনও বিদ্যমান।