চকরিয়ায় বিয়ের ৮ মাসের মাথায় অতর্কিত শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন করেছে স্বামী। এ সময় শাশুড়িকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেছে সে। গতকাল জুমার নামাজ চলাকালে দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মজিদিয়া মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রীকে খুনের পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহত উম্মে হাফসা তুহি ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আবদুল হামিদের মেয়ে ও আহত পারভীন আক্তার তার স্ত্রী। ঘাতক শওকত হাসান মেহেদী উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আজম উল্লাহ পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে। সে পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
আবদুল হামিদ জানান, গত ৮ মাস আগে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মেহেদী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জের ধরে আমার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করত। গত ৫ ডিসেম্বর মেয়ে তুহি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাকে খবর দিলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার মেহেদি আমার বাড়িতে আসে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে তুহিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে আমার স্ত্রী ও আমি বাধা দেই। আত্মীয়স্বজন নিয়ে এলে যেতে দেব বলার পর মেহেদি চলে যায়। দুপুরে জুমার নামাজ চলাকালে দেড়টার দিকে মেহেদি অতর্কিত এসে তুহি ও তার মাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে আহত অবস্থায় দেখে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে তুহিকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তার। পরে গুরুতর আহত স্ত্রী পারভীন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত পারভীন আক্তারকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে অভিযানে রয়েছে।