ইনিংসের তখন সবে ৮ ওভার শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন ৩৫ রান। কিন্তু এর মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। পরের ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশের অবস্থা আরও শোচনীয় করেন আকশার প্যাটেল। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডেলিভারিতে তানজিদ হাসান তামিম (২৫) ও মুশফিকুর রহিমকে (০) উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন বাঁহাতি স্পিনার।
মুহূর্তেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডের রূপ বদলে হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৩৫। সঙ্গে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগে আকশারের। সে কারণেই কিনা পরের বলে স্লিপের আশেপাশে ফিল্ডারের সংখ্যাও বাড়িয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ভারতের এ পরিকল্পনা প্রায় কাজে দিয়েছিল। আকশারের পরের স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটে নতুন আসা জাকের আলী অনিক। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে সহজ ক্যাচটি ধরতে পারলেন না রোহিত শর্মা। অধিনায়কের এমন মিসে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন আকশার।
টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, সে সময় ক্যাচটি নিতে না পেরে হতাশায় হাত দিয়ে কয়েকবার মাটিতে চাপড়েছেন রোহিত। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতীয় অধিনায়ক জানিয়েছেন, হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করায় আকশারকে ডিনার ট্রিট দেবেন তিনি! একেই বোধহয় গরু মেরে জুতো দান বলে!
রোহিতের ভাষায়, ‘ওটা সহজ ক্যাচ ছিল। স্লিপে ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি যে মানদণ্ড দাঁড় করিয়েছি, ক্যাচটা নেওয়া উচিত ছিল আমার। কিছুটা হতাশাজনক তো বটেই। কিন্তু এ ব্যাপারগুলো মাঠে ঘটেই। কিন্তু আবারও বলছি, ওরা যেভাবে বোলিং করেছে, সেটাই ম্যাচটা আমাদের দিকে নিয়ে এসেছে।’
ম্যাচের ইনিংস বিরতির সময় ওই ক্যাচ মিস নিয়ে আকশার বলেছিলেন, ‘এটা হতেই পারে। এসব খেলারই অংশ।’ আকশার যতই এটাকে খেলার অংশ বলে উড়িয়ে দিক না কেন, যাতে তার মনে হতাশা না থাকে, সেজন্য ডিনার করানোর কথা বলেছেন রোহিত, ‘আমি আগামীকাল (শুক্রবার) ওকে (আকশার) নিয়ে ডিনারে যেতে পারি।’