মহাকাশ গবেষণায় জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (JWST) বর্তমানে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই টেলিস্কোপ মহাকাশের আরও গভীরে প্রবেশ করবে এবং এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো এমন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন যা আগে কল্পনাও করা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-এর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া নতুন ছবি এবং তথ্যগুলো ব্রহ্মাণ্ডের জন্ম ও মহাজগতের গঠন সম্পর্কে আমাদের পুরোনো ধারণা বদলে দিতে পারে। মহাকাশের ইতিহাসের প্রথম কয়েক মিনিটের ঘটনা এবং প্রথম নক্ষত্রের সৃষ্টি সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে। এর পাশাপাশি, বিজ্ঞানীরা একাধিক গ্রহ এবং তাদের পরিবেশের অনুসন্ধান করছে, যা ভবিষ্যতে মানব বসবাসের উপযোগী গ্রহের সন্ধানে সহায়ক হতে পারে।
এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা আমাদের গ্রহের বাইরের গ্যালাক্সি, নক্ষত্র, এবং গ্রহের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হচ্ছেন। এছাড়া, টেলিস্কোপের অদ্বিতীয় ইনফ্রারেড সেন্সর মহাকাশের গহীন কোণ থেকে প্রাপ্ত আলোকরশ্মি সংগ্রহ করতে সক্ষম হচ্ছে, যা সাধারণ টেলিস্কোপের মাধ্যমে সম্ভব ছিল না। এর মাধ্যমে পৃথিবী থেকে লাখ লাখ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত মহাজাগতিক বস্তু সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, যা মহাবিশ্বের গঠন, বিকাশ, এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে আরও পরিষ্কার করবে।