Search
Close this search box.

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন ট্রাম্প

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠেয় গালফ-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সম্মেলনের আগে গত ৬ মে হোয়াইট হাউসে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা’র আভাস দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যা নিয়েই চলছে নানা জল্পনা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গালফ অঞ্চলের এক কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেবেন। তবে এতে হামাসের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না। তার মতে, এটি হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্য বদলে দেওয়ার মতো একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।

রিয়াদে আয়োজিত এই শীর্ষ সম্মেলনের আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা সম্পর্কে অসংখ্য ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। সূত্র আরও জানায়, এই সম্মেলনে নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তি খাতে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক চুক্তি ঘোষিত হয়েছে এবং গালফ রাষ্ট্রগুলো শুল্ক অব্যাহতির মতো সুযোগ পেতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্প কি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবেন
যদি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, যা মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের সফরের মূল ফোকাস অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও পারমাণবিক প্রযুক্তি সহযোগিতা হতে পারে। সৌদি আরব বর্তমানে তাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতোমধ্যে বারাকাহ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছে।

সাবেক গালফ কূটনীতিক আহমেদ আল-ইব্রাহিম এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেন, ফিলিস্তিন বিষয়ে কোনো বড় ঘোষণা হলে মিসর ও জর্ডানকে আমন্ত্রণ জানানো হতো, যাদের উপস্থিতি এখানে অনুপস্থিত। বরং তার মতে, ২০১৭ সালের মতো এবারও বড় অর্থনৈতিক ও সামরিক চুক্তি হবে।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি সৌদি আরবে তার প্রথম সফর। তার পূর্ববর্তী সফর ২০১৭ সালের ২১ মে অনুষ্ঠিত গালফ-যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনে ব্যাপক চুক্তি ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়।