জুম্মু কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর হামলার জেরে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। পাল্টাপাল্টি হামলায় অবস্থা ক্রমশই যুদ্ধে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাঝেই এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে ২-০ সেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ওমানের দশম এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে ‘বি’ গ্রুপে মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। যেখানে ভারতকে প্রথম সেটে ৩৪–৬ এবং দ্বিতীয় সেটে ৩৬–৭ ব্যবধানে হারিয়েছে পাক হ্যান্ডবল দল।
সামরিক, কূটনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গন যখন ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় উত্তপ্ত, ঠিক তখনই একসঙ্গে ম্যাচ খেলেছে ভারত-পাকিস্তান। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ম্যাচ খেলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন হ্যান্ডবল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার (এইচএফআই) নির্বাহী পরিচালক আনন্দেশ্বর পান্ডে।
ফাইনাল আয়োজন করতে চায় ভারত, বাধা হতে পারে পাকিস্তান
আনন্দেশ্বর পান্ডে বলেন, আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের চার্টার অনুসারে ম্যাচ বয়কট করলে আমাদের ১০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হতো। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ২ বছরের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কাও ছিল। এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশন আমাদের পরিষ্কার বলে দিয়েছে, ভারত ম্যাচ না খেললে তা অলিম্পিক চার্টারের চেতনাবিরুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হবে। না খেলা ছাড়া আমাদের অন্য কোনো উপায় ছিল না।
এই পরিচালক আরও জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ খেলার আগে হ্যান্ডবল ফেডারেশন ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছে নির্দেশনা চেয়েছিল, কিন্তু ম্যাচের আগে কোনো সরকারি নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এখন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে যদি আবারও পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ পড়ে, তাহলে তারা মন্ত্রণালয় ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকবেন। যদি কোনো নির্দেশনা না আসে, তবে দলকে পাকিস্তানের সঙ্গে পরবর্তী ম্যাচ ছেড়ে দিতে বলা হবে।
অন্যদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ম্যাচে ভারতের খেলোয়াড়েরা সংহতি প্রকাশে কালো বাহুবন্ধনী পরেছিলেন। তবে এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশন ও আয়োজকেরা সেটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেন এবং জানান যে এ ধরনের কর্মকাণ্ড টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দেওয়ার কারণ হতে পারে।