Search
Close this search box.

মোদি ফের হামলা চালাতে পারেন, প্রস্তুত থাকতে হবে: জেল থেকে ইমরান খান

টানা ৮৭ ঘণ্টার সামরিক সংঘাতের অবসান ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়। ভারত ও পাকিস্তান সম্মত হয়েছে যুদ্ধবিরোতিতে। তবে এই সাময়িক বিরতিই শেষ নয়—আগামী দিনে ভারতের তরফ থেকে আবারও আগ্রাসন আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দী বিরোধী নেতা ইমরান খান। এই প্রেক্ষিতে কারাগার থেকেই জনগণের উদ্দেশ্যে জরুরি সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।

কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর কোন তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। ইসলামাবাদ শুরু থেকেই এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়। পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারির পর ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সামরিক অভিযান চালায় ভারত।

তবে ভারতীয় আগ্রাসনের মুখে নীরব থাকে না পাকিস্তান। ইসলামাবাদ পাল্টা জবাব দেয়। পাকিস্তান ভূপাতিত করে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জবাবে পাকিস্তান চালায় ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’, যাতে ভারতের অন্তত ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।

এই টানা সংঘাতের অবসান ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়। সামরিক দিক থেকে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হলেও পাকিস্তান তুলনামূলকভাবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সক্ষম হয়েছে। ফলে ইসলামাবাদ এই যুদ্ধবিরোতিকে নিজেদের কৌশলগত বিজয় হিসেবে দেখছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত হলেও পাকিস্তান আশঙ্কা করছে, ভবিষ্যতে ভারতের পক্ষ থেকে নতুন করে আগ্রাসন চালানো হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই কারাগারে আটক ইমরান খান জাতির উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার বোন আলিমা খান জানান, ইমরান খান বলেছেন—“ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব পোষণ করেন। তিনি অবশ্যই প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করবেন। তাই পুরো জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে।”

ইমরান খান আরও বলেন, “পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরোধমূলক জবাব শুধু জাতির মনোবল বাড়িয়েছে না, বরং কারাবন্দী ব্যক্তিদের মনেও আশার আলো জাগিয়েছে।” পিটিআই’র কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক শেখ ওয়াকাস আকরাম এক বিবৃতিতে বলেন, “সেনাবাহিনীর প্রতিরোধমূলক জবাব কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের মনোবল দৃঢ় করেছে। তবে মোদির প্রতারণামূলক মনোভাবের কারণে আগামীতে আরও আগ্রাসনের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।”

এদিকে, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলী খান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “যদি ভারতের মতো প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধবিরোতি সম্ভব হয়, তাহলে দেশের রাজনৈতিক বিরোধীদের সঙ্গেও সংলাপে বসার কোন বাধা থাকা উচিত নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ভারত-পাকিস্তান সংলাপকে উৎসাহিত করা। সরকার যদি সর্বদলীয় সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়, পিটিআই তা নিয়ে ভাবতে প্রস্তুত।”