ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ নেই যা থেকে বোঝা যাবে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হতে পারে কি না। যে লক্ষণগুলো দ্বারা ধারণা করা যায় সেগুলোও সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে বুঝে ওঠা কঠিন। তাই অনেকেই ডায়াবেটিসকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলে থাকেন।
তবে কিছু লক্ষণের দিকে খেয়াল করলে ডায়াবেটিসের সংকেত পাওয়া যেতে পারে।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
অতিরিক্ত তৃষ্ণা : বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে পলিফাজিয়া। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। এর ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানির পিপাসা পায়।
বারবার প্রস্রাব হওয়া : দেহে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীর রক্ত থেকে অতিরিক্ত শর্করা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে, যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
এই সমস্যাটি রাতের বেলা বেশি দেখা দেয়। একে বলে পলিইউরিয়া।
অতিরিক্ত খিদে : ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে শরীর কোষে পর্যাপ্ত শর্করা পৌঁছাতে পারে না। ফলে শরীরে শক্তির অভাব দেখা দেয় এবং অস্বাভাবিকভাবে বেশি খিদে পায়।
বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে পলিডিপসিয়া।
অকারণে ওজন কমে যাওয়া : শরীর শর্করার থেকে শক্তি না পেয়ে চর্বি ও পেশি ভাঙতে শুরু করে। ফলে শরীরে জমে থাকা স্নেহপদার্থ দহনের মাধ্যমে শরীরকে শক্তি যোগায়। যার কারণে ডায়েট বা ব্যায়াম ছাড়াই ওজন কমতে থাকে।
ক্লান্তি ও দুর্বলতা : কোষে শর্করার অভাব হলে শরীর পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদন করতে পারে না।
এর ফলে সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা এবং শারীরিক দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।
তাই ডায়াবেটিস থেকে বেঁচে থাকতে এই লক্ষণগুলো দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করা। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতে পারে।