মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্রগ্রাম:
চট্টগ্রাম: বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ও রাজনীতিবিদ লায়ন আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ইছালে সাওয়াব উপলক্ষে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর গোল্ডেন টাচ সি-ওয়ার্ল্ড কনভেশন হলে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এরাবিয়ান লিডারশীপ মাদ্রাসা ট্রাস্ট। সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আবুল বশর আবু এবং সঞ্চালনা করেন মাওলানা এম সোলাইমান কাসেমী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন,
“লায়ন আব্দুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন এক ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ। তিনি শুধু একজন শিক্ষানুরাগী নন, বরং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো এক আলোকবর্তিকা ছিলেন। শিক্ষা, সমাজসেবা ও রাজনীতিতে তাঁর অবদান ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমন একজন সমাজদর্শী মানুষকে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।”
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন,
“গাফফার চৌধুরী ছিলেন আদর্শবান ও কর্মঠ সমাজসেবক, তাঁর দেখানো পথে সমাজ গঠনে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তিনি ছিলেন জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ এক পথপ্রদর্শক।”
প্রধান আলোচক হিসেবে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী বলেন,
“তাঁর জীবন ও কর্ম তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। এমন দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী মানুষ সমাজে বিরল।”
মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন,
“গাফফার চৌধুরীর মতো মানুষ সমাজে বিরল। তাঁর অভাব সহজে পূরণ হবার নয়। তিনি মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এক প্রকৃত নেতৃত্ব ছিলেন।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ড. মোহাম্মদ রেজাউল কবির এবং সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কামরুল হাসান।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আবুল বশর আবু তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,
“লায়ন গাফফার চৌধুরী ট্রাস্টের একজন গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ছিলেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অবদান আজকের এরাবিয়ান লিডারশীপ মাদ্রাসার উন্নয়নের ভিত্তি। আমরা তাঁর স্মৃতিকে ধারণ করে শিক্ষা ও সমাজসেবার অঙ্গনে আরও এগিয়ে যেতে চাই।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফি উল্লাহ কুতুবী (উদ্বোধনী বক্তব্য), জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ জসিম উদ্দিন (স্বাগত বক্তব্য), মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইবরাহীম ছিদ্দিকী, সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ দীদার রশীদ, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম রাহী, চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টের স্পেশাল পিপি সাইফুল আবেদীন, জাফর উল্লাহ, আবু বকর, এডভোকেট ওমর চৌধুরী, সাহাব উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট জসিম উদ্দিন, মাওলানা রহিম উল্লাহ, মাওলানা ইমতিয়াজ হোসাইন ও হাফেজ ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।
পরিশেষে, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের শরীয়াহ ফ্যাকাল্টির ডীন প্রফেসর ড. রশীদ জাহেদ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানজুড়ে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণা ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
