তিনবার ভেঙেছে সংসার, তবু বিয়েতে আস্থা শ্রাবন্তীর

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, যিনি তার দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। অসংখ্য হিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে অভিনয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন এ নায়িকা। বিশেষ করে তার বিয়ের সম্পর্ক এবং বার বার ডিভোর্সের কারণে তিনি প্রায়ই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসেন।

তিনবার বৈবাহিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন শ্রাবন্তী, তবে কোনো সম্পর্কই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সর্বশেষ তার তৃতীয় বিচ্ছেদ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এরপর তিনি একাধিক সম্পর্কেও জড়ান, যার ফলে উঠে এসেছিলেন আলোচনায়।

তবে তিনবার বৈবাহিক জীবনে ভাঙন এলেও বিয়ে ও ভালোবাসার প্রতি আস্থা হারাননি শ্রাবন্তী।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, নিজের অতীত ভুল হলেও তিনি এখনও মনে করেন—বিয়ে একটি সুন্দর প্রতিষ্ঠান এবং তাতে বিশ্বাস রাখা উচিত।
শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমি এখনও বিয়েতে বিশ্বাস করি। কারণ, আমি আমার বাবা-মাকে দেখেছি। যারা বিয়ে করছেন, তারা যেন ভালো থাকেন, একে অপরের প্রতি স্বচ্ছতা বজায় রাখেন—এটাই কামনা করি।

কিন্তু কেন তিনটি দাম্পত্য সম্পর্কই টেকেনি? উত্তরে শ্রাবন্তীর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘আমার ভুল ছিল আমি ভুল মানুষকে বেছে নিয়েছিলাম। আবেগে ভেসে গিয়েছিলাম। এখন বুঝি, বাস্তবতাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। নিজের ভালো থাকা এবং সম্মান বজায় রাখাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটাই জীবন।
কে কী বলছে, তা নিয়ে ভাবলে চলবে না। নিজের মন যা বলছে, সেটাই করা উচিত।’

১৮ বছর হওয়ার আগেই পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে প্রথম বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। তাদের একমাত্র ছেলে ঝিনুক (অভিমন্যু)। পরে সেই সম্পর্ক বিচ্ছেদে গড়ায় ২০১৬ সালে। এরপর দ্বিতীয়বার কৃষাণ ব্রজ এবং তৃতীয়বার রোশন সিংকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। কিন্তু সে সম্পর্কগুলোও টেকেনি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রোশনের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছেদ হয় অভিনেত্রীর।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।