‘এনসিপিতে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা থাকলে বিএনপি তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেবে না’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন বলেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো কমিটিতে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা থাকলে বিএনপি তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেবে না। কমিটি দেওয়ার আগে ঠিকভাবে যাছাই-বাছাই করে দেবেন। আওয়ামী লীগের লোক দিয়ে কমিটি দেবেন আর তারাই এসে হুমকি-ধমকি দেবে; এটা কোনোভাবেই জনগণ মেনে নেবে না।

শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন বলেন, ‘বিএনপি সরকার গঠন করলে সেখানে কোনো চোর-বাটপার বা কোনো ফ্যাসিস্ট এমপি-মন্ত্রী হতে পারবে না। যারা মন্ত্রী হবে, তারা হবেন জনগণের মন্ত্রী, ভালো মানুষ হবেন তারা। কোনো চোর বাংলাদেশের ইতিহাসে এমপি-মন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা (আওয়ামী লীগ) দিনের ভোট রাতে করেছেন। আবার ২৪ সালে সকল নির্বাচনকে হার মানিয়ে ইচ্ছেমতো ডামি নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছে। যে কেন্দ্রে ৩ হাজার ভোট আছে, সেই কেন্দ্রে ৪ হাজার ভোটও বাক্সে ভরে রেখেছে। কিন্তু দেখেন, আপনারা (আওয়ামী লীগের নেতারা) দেশছাড়া হয়ে গেছেন। আগামী নির্বাচন বিদেশে বসে আপনারা শুধু দেখবেন। আর জনগণ হাসিমুখে ভোট দেবে এবং তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তৈরি করবে। আওয়ামী লীগ শুধু দূরে বসে আফসোস করবেন। আপনাদের আফসোস দেখে আমাদের কষ্ট হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি গায়ের জোড়ে, ব্যালটে সিল মেরে; ব্যালট পেপার ছিনতাই করে বিনা ভোটে জয়ী হতে চায় না। জনগণের সমর্থন, ভালোবাসা আর দোয়া নিয়ে আমরা জনপ্রতিনিধি হতে চাই। আওয়ামী লীগের মতো কারচুপি নির্বাচন আমরা কখনোই আর চাই না।’

ঝাউদি ইউনিয়নের বিএনপির প্রবীণ নেতা আ. মালেক আকনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান জাকির, সদস্য সচিব কামরুল হাসানসহ অনেকেই।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।