চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) দুটি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল হয়েছে। কোতোয়ালী থানার বিতর্কিত ওসি-তদন্তকেও তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ স্বাক্ষরিত এক আদেশে সিএমপিতে কর্মরত চার পুলিশ পরিদর্শককে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিনকে পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদকে ডবলমুরিং থানার ওসি, কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রোবেল আফ্রাদকে সিএমপি সিটিএসবির পুলিশ পরিদর্শক এবং পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল হোসেনকে কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পদে বদলি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রোবেল আফ্রাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ গত শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলায় চট্টগ্রামভিত্তিক বই বিপণিকেন্দ্র ও প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘরের স্বত্ত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশকে থানায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সমালোচিত হন তিনি। ওই সময় চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান প্রেসক্লাবের নিচে বাতিঘরে ঢুকে রোবেল আফ্রাদ দীপঙ্কর দাশকে বলেন, কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। এরপর তাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় এক ঘন্টা নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাতিঘরের স্বত্ত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুপুরে কোতোয়ালী থানার ওসি তদন্ত এসে বললেন, এসি মাহফুজ সাহেব আপনাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। এরপর তিনি আমাকে বলেন, এখনই আপনাকে যেতে হবে। আমি সঙ্গে সঙ্গেই তাদের সঙ্গে রওনা হয়ে কোতোয়ালী থানায় যাই। সেখানে থানার ওসি ও ওসি তদন্ত মিলে আমাকে প্রায় এক ঘন্টা নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহফুজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি তো কাউকে চায়ের দাওয়াত দিইনি। এটা যে বলেছে তাকে জিজ্ঞেস করেন আমি দাওয়াত দিয়েছি কিনা।