ফিসারি ঘাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি: এর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ফিসারি ঘাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি: এর সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ারুল ইসলাম এর নেতৃত্বে মানববন্ধন করেন খেটে খাওয়া মৎস্যজীবীগণ, বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মধ্যে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের অভিযোগ আনেন ও নিরপেক্ষ তদন্তের জোর দাবি করেন, বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১৭ই জুলাই ২০২৫ তারিখে ঘোষিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সমবায় সমিতি আইন ২০০১ সংশোধিত ২০০২ ও ১৩) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং স্বচ্ছতার অভাবে দেশের সচেতন নাগরিক ও মৎস্যজীবী সমাজের মধ্যে গভীর উদ্যোগ সৃষ্টি করেছে, এই কমিটির গঠন নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে আইন লঙ্ঘন, অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের গুরুতর অভিযোগ।

সমবায় সমিতির আইন ২০০১ এর ১৮ (৫) ধারা অনুযায়ী অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সমবায় সমিতির সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তা হতে হবে, কিন্তু ঘোষিত কমিটির সদস্য জনাব আবু সাঈদ, মোহাম্মদ সুজাউদ্দিন এবং জনাব শেখ মোঃ ইউসুফ কোন মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য নন, যা আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। এছাড়া সভাপতি জনাব মোল্লা শামসুর রহমান শাহীন এবং সদস্য জনাব জয়দেব বর্মন ঋণ খেলাপি হওয়ায় সমবায় সমিতির আইনের ১৯(ঙ) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য অযোগ্য, কমিটির সভাপতি মোল্লা শামসুর রহমান শাহিন, সদস্য মোঃ জাকির হোসেন এবং জয়দেব বর্মন তিনজনই বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, এই নিয়োগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে, যা মৎস্যজীবীর সম্প্রদায়ের স্বার্থের পরিপন্থী, বিশেষত এই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া তদারকি করেছেন মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, যিনি এক সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন তার দপ্তরে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, “কিসের বিনিময়ে এই সমঝোতা?”এই কমিটি গঠনের পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় দলিল ও প্রমাণাদি জমা দেওয়ার সত্ত্বেও কমিটি ঘোষণা বন্ধ করা যায়নি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লুকোছাপা,চাপাচাপি এবং সম্ভাব্য আপোসের অভিযোগ উঠেছে।

বিভিন্ন পক্ষ থেকে এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা সম্ভাব্য লেনদেন এবং রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে, বাংলাদেশ মৎস্যজীবী সম্প্রদায় এই কমিটি গঠনকে তাদের স্বার্থের উপর আঘাত হিসেবে দেখছে, আইন লংঘন করে গঠিত এই কমিটি মৎস্যজীবীদের অধিকার ও কল্যাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, সচেতন নাগরিক ও মৎস্যজীবী সমাজ এই অনিয়মের বিরুদ্ধে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন এবং দায়ীদের জবাবদিহির দাবি জানাচ্ছে। তাহাদের দাবি, ১. সমিতি আইন ২০০১ মেনে অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করা হোক।

২. কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য অনিয়ম, লেনদেন ও রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। ৩. মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রকৃত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সত্র প্রক্রিয়ায় নতুন কমিটি গঠন করা হোক। যোগাযোগ: আহমদ হোসেন সভাপতি মাগুরা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ মোবাইল নাম্বার ০১৭১৫৩৫২১৫৬। ২. আলহাজ্ব আনোয়ারুল ইসলাম, সম্পাদক ফিশারী ঘাট মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ মোবাইল নাম্বার ০১৮১৪৭২৭৫৮৯/ ০১৭১১৪৬৮১৯৩।