পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও সদর উপজেলার পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ আরও নয়জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ও সদর উপজেলার ডাংগিপুকুর সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ তাদের পুশইন করে। এর আগে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে আটক এক বাংলাদেশি তরুণীকে বাংলাবান্ধা সীমান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শুক্রবার সকালে বিজিবির পক্ষ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পপি রায় নামের এক তরুণীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পপি প্রায় এক বছর ধরে অবৈধভাবে ভারতের শিলিগুড়িতে বসবাস করছিলেন। তবে রাতে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ও সদর উপজেলার ডাংগিপুকুর সীমান্ত দিয়ে নয়জনকে পুশইন করা হয়। শুক্রবার সকালে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা সকলেই বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের বাড়ি যশোর ও ময়মনসিংহ জেলায় বলে জানা গেছে। বৈধপথে ফেরত তরুণীর বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় বিজিবি।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, আটক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয় নিশ্চিত হলে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে দুই-তিন মাসে দশ দফায় পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৫৭ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।