চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় গত বছরের ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত শহিদুল ইসলাম শহিদের হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ২৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। তবে চার্জশিটে বাদ গেছে যুবলীগ ক্যাডার জাফরের নাম, যাকে আন্দোলনের সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছিল এবং যিনি প্রাইভেটকারে অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন বলে একাধিক ভিডিও ও সংবাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফয়সাল অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সিএমপি সূত্র জানিয়েছে, এটি গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনকে ঘিরে দায়ের হওয়া মোট ১৫১ মামলার মধ্যে প্রথম চার্জশিট।
শহিদুল ইসলাম শহিদ (৩৭) চট্টগ্রাম নগরের কদমতলীর একটি জুতার দোকানে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বহদ্দারহাট মোড় দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলছিল।
এজাহার অনুযায়ী, সেদিন সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা বাঁশ, লাঠি, লোহার রড, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। হঠাৎ তারা গুলি চালালে শহিদুল গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাকে পার্কভিউ হাসপাতালে নিলেও সেখানে তার মৃত্যু হয়।
পরদিন নিহতের ভাই শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা (মামলা নম্বর ১৫/২৫১) করেন। এজাহারে মাত্র ৮ জনের নাম এবং ৩০-৪০ জন অজ্ঞাত আসামির কথা উল্লেখ করা হয়।
৮ আসামি থেকে ২৩১
প্রথমে মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন এসআই মো. শরীফ উদ্দিন। পরে পর্যায়ক্রমে এসআই নুরুল হাকিম এবং শেষ পর্যন্ত এসআই মো. ফয়সাল দায়িত্ব নেন।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে— প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, খসড়া মানচিত্র অঙ্কন, ৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন এবং দুই আসামির মোবাইল সিডিআর সংগ্রহে আবেদন করেন। পরবর্তী তদন্তে ৮২ জন আসামি গ্রেপ্তার দেখানো হয়, যাদের অধিকাংশই অন্য মামলায় আগে গ্রেপ্তার ছিলেন। সর্বশেষ তদন্তে মোট ২৩১ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়।
চার্জশিটের সাক্ষী তালিকায় ১২৩ জনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন সাধারণ নাগরিক, একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, একজন চমেক ফরেনসিক চিকিৎসক এবং বাকি ৯৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা।
মামলায় প্রথমে ৮ জনকে আসামি করা হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন— চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মহিউদ্দিন ফরহাদ (৪৫), আওয়ামী লীগের কর্মী মো. জালাল ওরফে ড্রিল জালাল (৪২), যুবলীগ কর্মী মো. ফরিদ (৪২), চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি মো. তাহসীন (২৭), যুবলীগ কর্মী এইচ এম মিঠু (৪০), মহানগর যুবলীগ নেতা মো. জাফর (৪০), যুবলীগ কর্মী ফিরোজ (৩৮) এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মো. দেলোয়ার (৪০)।
পরে প্রাথমিক ৮ আসামির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না থাকার কারণে মো. জাফরকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিচারের জন্য সোপর্দ করেননি।
ভিডিওতে অস্ত্রধারী জাফর, তবু চার্জশিটে নেই নাম
চার্জশিট নিয়ে সবচেয়ে বড় সমালোচনা হলো যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী ওমরগনি এমইএস কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গাজী জাফর উল্লাহকে বাদ দেওয়া।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে লিখেছেন, ‘জাফরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি’। তাকে ‘নট সেন্ট আপ’ দেখিয়ে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীরা এটিকে স্পষ্ট গাফিলতি ও অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা বলছেন।
জাফরের গাড়ি থেকে নেমেছিল অস্ত্র
অনুসন্ধানে ওঠে আসে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ভয়াবহ সংঘর্ষে একটি প্রাইভেটকারে করে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। চট্ট মেট্রো-গ-১৪-৩২২১ নম্বরের গাড়িটি যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাফর উল্লাহর মালিকানাধীন। এই গাড়িতে এসে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা ও সিআরবির ডাবল মার্ডার মামলার আসামি বাবরকে পিস্তল হাতে মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, সংঘর্ষে পাঁচ যুবক প্রকাশ্যে গুলি চালাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পাইপগান হাতে জাফর উল্লাহও আছেন। তাকে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। অস্ত্রধারীদের হাতে ছিল দুটি এলজি, দুটি পিস্তল ও একটি শটগান।
অন্য এক ছবিতে দেখা যায়, ষোলশহর এলাকায় জাফর উল্লাহর সাদা প্রাইভেটকারটি দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির পাশে যুবলীগ কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সেই গাড়ি থেকে কয়েকটি ব্যাগ নামানো হয় এবং সেগুলো কাঁধে নিয়ে কয়েকজন সরে যান। গাড়িটি থেকে নেমে বাবর নেতাকর্মীদের নিয়ে ষোলশহরমুখী রাস্তায় মিছিলে নেতৃত্ব দেন। পরে ছাত্রলীগ–যুবলীগের অস্ত্রধারীরা হেলমেট পরে গুলি ছুড়তে ছুড়তে আন্দোলনকারীদের দিকে এগিয়ে যায়।
চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন মো. জালাল প্রকাশ ড্রিল জালাল, এইচ এম মিঠু প্রকাশ নুরুল হুদা, ঋভু মজুমদার, যুবলীগ কর্মী ফিরোজ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মো. দেলোয়ার। এদের সবাই হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী।
অস্ত্রধারী হয়েও অভিযোগপত্র থেকে বাদ পড়া জাফর উল্লাহ ১৯৯৬ সালের আজাদ আলী খান হত্যা মামলার আসামি। ওই বছরের ১৯ জুন চট্টগ্রাম কলেজ সড়কে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে গোলাগুলিতে নেতৃত্ব দেন জাফর। সেদিন তার নির্দেশে প্রকাশ্যে পিস্তল নিয়ে গুলি ছুঁড়তে দেখা গেছে তার সহযোগী দেলোয়ারকে। এছাড়া জাফরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অপহরণের একাধিক মামলা রয়েছে।
কর্ণফুলীর ২০ জনকে যুক্ত করার রহস্য
চার্জশিটে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার ২০ জনের নাম রয়েছে, যাদের কারও নাম প্রাথমিক এজাহারে ছিল না। এদের বিরুদ্ধে ইনকোয়ারি রিকুইজিশন পাঠানো হলেও কোনো পর্যায়ে সরাসরি তদন্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
চান্দগাঁও থানার মামলা হলেও কর্ণফুলী থানা জানতে পারে একটি ইনকোয়ারি রিকুইজিশনের (ইএস) মাধ্যমে। প্রায় দুই মাস আগে চান্দগাঁও থানা থেকে পাঠানো ওই ইএস-এ এসআই আব্দুল মালেক কর্ণফুলী থানার ১০ জন বাসিন্দার নাম উল্লেখ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চান্দগাঁও থানার ১৫ নম্বর মামলার এজাহারে তাদের কারোরই নাম ছিল না। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে—তবে কেন তাদের বিরুদ্ধে ইএস পাঠানো হলো?
এ অবস্থায় কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বিষয়টি চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিনকে জানালে, প্রায় দেড় মাস মামলাটির কোনো তদন্ত কর্মকর্তা আর কর্ণফুলীতে খোঁজ নেননি। তবে সর্বশেষ ১০-১৫ দিন আগে হঠাৎ সিএমপি হেডকোয়ার্টারের চাপ আসে। একদিনের মধ্যেই কর্ণফুলী থানা থেকে ওই ১০ জনের নাম-ঠিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। ওসি শরীফ সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেন।
এদের মধ্যে কর্ণফুলীর স্থানীয় সাংবাদিক ওসমান হোসাইনও আছেন। তিনি অভিযোগ করেন— ‘আমি নির্দোষ প্রমাণের জন্য সিএমপি কমিশনারের কাছে আবেদন করি। শুনানিতে প্রমাণপত্র উপস্থাপনের পর আমাকে নির্দোষ বলা হয়। কিন্তু এরপরও চার্জশিটে আমার নাম দেওয়া হয়েছে, যা ষড়যন্ত্রমূলক।’
এই মামলার বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন জানান, ‘মামলাটি সিএমপি হেডকোয়ার্টার সরাসরি তদারকি করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এবং সংশ্লিষ্ট জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারও (ডিসি) তেমন কিছু জানি না।’
চার্জশিটে কারা আছেন
২৩১ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন— সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, এম আব্দুল লতিফ, এসএম আল মামুন, এমএ ছালাম, মহিউদ্দিন বাচ্চু, নোমান আল মাহমুদ, দিদারুল আলম দিদার, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন মো. জালাল প্রকাশ ড্রিল জালাল, এইচ এম মিঠু প্রকাশ নুরুল হুদা, ঋভু মজুমদার, যুবলীগ কর্মী ফিরোজ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মো. দেলোয়ার।
অভিযুক্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি মো. তাহসীন।
তালিকায় সাবেক কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন এসরারুল হক, কাজী নুরুল আমিন মামুন, সাবেক এম আশরাফুল আলম, সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, জাবেদ নজরুল ইসলাম, পুলক দস্তগীর, মো. ইলিয়াছ, মোরশেদ আলী, মোবারক আলী, গিয়াস উদ্দিন, জহর লাল হাজারী, আব্দুস সবুর লিটন, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাছনী, হাসান মুরাদ, জিয়াউল হক সুমন, গোলাম মোহাম্মদ জুবায়ের, নেছার উদ্দিন আহমেদ, নুর মোস্তফা টিনু, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, মো. মোরশেদ আলম, নাজমুল হক প্রকাশ ডিউক, মো. জহুরুল আলম জসিম, শৈবাল দাশ সুমন, কফিল উদ্দিন খান প্রকাশ কফিল কাউন্সিলর, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রকাশ হরি তৌহিদ, ইমরান আহমেদ ইমু, মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
এছাড়া রয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহিউদ্দিন ফরহাদ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মো. তালেব আলী, মহানগর যুবলীগ নেতা আবু নাছের চৌধুরী আজাদ, যুক্তরাজ্যের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইমরান, আব্দুল নবী প্রকাশ লেদু হাজী, ছাত্রলীগ নেতা মো. ইশতিয়াক আলী প্রকাশ ওয়াসিফ, যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সৈয়দ নুর নবী লিটন, মো. সোহেল, জাবেদুল ইসলাম জাবেদ, হাসান মুরাদ জকু, শওকত ইকবাল চৌধুরী, দেবাশীষ আচার্য্য, সাজ্জাদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম উদ্দিন, তসকির আহমেদ, তারেক হাসান জুয়েল, মো. রায়হান, আহসানুল করিম, ফারাজ করিম চৌধুরী, সুমন দাশ, কাবেদুর রহমান কচি, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মো. ইসমাইল, ওসমান গণিসহ মোট ২৩১ জন।
তবে অস্ত্রধারী জাফরের নাম চার্জশিট থেকে বাদ গেছে।
তদন্তে অসঙ্গতি ও বিতর্ক
প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ উদ্দিন দাবি করেছেন, ‘আমি এ মামলায় কোনো কাজ করিনি’। অথচ চার্জশিটে তাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার কিছু আসামি হলফনামা দিয়ে নিজেদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ঢালাওভাবে ২৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন , ‘এভাবে ঢালাও আসামি করে চার্জশিট দিলে পুলিশের প্রতি জনআস্থা ক্ষুণ্ণ হবে। তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন থাকবে।’
জব্দকৃত আলামত
জব্দকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে নিহত শহিদের কালো জিন্স প্যান্ট, শরীর থেকে উদ্ধার ১০টি সিলগালা যুক্ত ধাতব পিলেট, একটি ৬৪ জিবি পেনড্রাইভ, যাতে ৮টি ভিডিও ও স্থিরচিত্র রয়েছে।
জনমনে প্রশ্ন
চট্টগ্রামের জুলাই আন্দোলনের আলোচিত এই মামলার চার্জশিটে একদিকে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের নাম এসেছে, অন্যদিকে প্রকাশ্য ভিডিওতে অস্ত্র হাতে ধরা পড়া জাফরকে বাদ দেওয়া হয়েছে ‘ঠিকানা না পাওয়ার অজুহাতে’। ২৩১ জন আসামি ও ১২৩ জন সাক্ষী নিয়ে এই চার্জশিট এখন জনমনে আরও বিতর্ক ও প্রশ্ন তৈরি করেছে।