স্বাক্ষরটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের (চকরিয়া) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের হতে পারে।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এমন কোনো চিঠি দিয়েছি বলে আমার মনে পড়ছে না। আর ক্যাপটিভের এনওসির চিঠি আমাদের দপ্তর থেকে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমাদের দপ্তরে কোনো আবেদন এলে আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে প্রেরণ করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, ফৌজদারহাট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলাম। তারপর বদলি হয়ে বাড়বকুণ্ডে পোস্টিং দেওয়া হয়। আমি নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করিনি। ফলে এই স্বাক্ষর আমার দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এটা জাল হতে পারে।
জালিয়াতি বিষয়ে জানতে কর্ণফুলী স্টিল মিলসের সিনিয়র ডিজিএম মো. আব্দুর কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এজিএম গৌতম সাহেবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যে এনওসি জমা করা হয় তখন এখানে আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তবে আমার দপ্তরের ম্যানেজার নূরে আলম সিদ্দিকী আমাকে জানিয়েছে, তারা নাকি এনওসিটি ভেরিফাই করেছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাবেক একজন উর্ধতন কর্মকর্তা নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, টি কে গ্রুপের বেশিরভাগ কাগজপত্র ভুয়া এবং বানানো। আমি যখন কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানিতে কর্মরত ছিলাম, তখন তাদের অনেক কাগজ ভুয়া ধরেছি।
টি কে গ্রুপ ভোজ্যতেল, ময়দা, চা, সিমেন্ট, রাসায়নিক, কাঠের বোর্ড, হ্যাচারি থেকে শিপ বিল্ডিংয়ের মতো পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করছে।