ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ছয় বছর পর, গত সেপ্টেম্বর মাসে নবনির্বাচিত নেতারা ডাকসু ভবনের দীর্ঘদিনের অব্যবহৃত অংশগুলো সংস্কারের প্রস্তাব দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে বাজেট বরাদ্দ করেন।
বাজেট বরাদ্দকে ঘিরে বিতর্কের মধ্যে পড়লেও ডাকসু নেতারা জানিয়েছেন, এটি কোনো চাপের ফল নয়। বরং ভবনটিকে কার্যকরভাবে ব্যবহার উপযোগী করতে প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
ডাকসুর সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, “শুধু এসি নয়, আমাদের ডাকসু ভবনের বিশাল খোলা ছাদটিও তিনটি থিমে সাজাবো।ডাকসুকে আরও আধুনিক করবো, যাতে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি মুহূর্ত ডাকসুতে থাকতে চায়। ডাকসু হবে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা।”
ডাকসুর ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদিক কায়েম জানান, “দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। ভাঙা টেবিল, ব্যবহার অযোগ্য বাথরুম, সাউন্ড সিস্টেম ছাড়া কনফারেন্স রুম—সবই সম্পূর্ণ অকার্যকর অবস্থায় ছিল।
তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারকে জানাই। তারা হিসাব করে কতগুলো টেবিল, চেয়ার ও সোফা লাগবে তা নির্ধারণ করেছে। আমরা বলেছি, আগের জিনিসগুলো পলিশ বা মেরামত করে ব্যবহার করা যাবে, নতুন কেনার দরকার নেই।”
তিনি আরও বলেন, “দ্রুত অফিসে বসার উপযোগী করার জন্য আমি বারবার ফোন করেছি। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সোফা, টেবিল, চেয়ার পলিশ করা হচ্ছে, ছারপোকা মুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে পুরো ক্যাম্পাস পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিচ্ছি। রিডিং রুমে এসি বসানোর কাজও শুরু হয়েছে। এছাড়া আমাদের কালচারাল প্রোগ্রামও চলমান।”
সাদিক কায়েম যোগ করেন, “মেডিকেল ক্যাম্প আধুনিক করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ম্যানেজ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দেওয়া কমিটমেন্ট অনুযায়ী, অফিসের কাজের পরিবেশ উন্নয়নের সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এটি ব্যক্তিগত নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্র ও এর পরিবেশকে উন্নত করার দায়িত্ব প্রশাসনের সঙ্গে মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ছয় বছর পর, গত সেপ্টেম্বর মাসে নবনির্বাচিত নেতারা ডাকসু ভবনের দীর্ঘদিনের অব্যবহৃত অংশগুলো সংস্কারের প্রস্তাব দেন।