
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে চোরাইকৃত সরকারি মালামাল ও ওষুধসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ৩টায় পাঁচলাইশ থানাধীন মুন্সিপুকুরপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন- মো. লিয়াকত আলী (৩৫) এবং মো. বাবুল মিয়া (২৬)।
এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের দেখানো মতে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চোরাইকৃত সরকারি মালামাল ও ঔষুধ সামগ্রী। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে ছিল সাউন্ড সিস্টেম, প্রজেক্টর, মাইক্রোফোন, কম্পিউটার সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন প্রকার সার্জিক্যাল ওষুধ ও উপকরণ।
চুরির ঘটনা প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলার ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার ও মামলার বাদী মো. কামরুজ্জামান (৪৬) জানান, গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুর আনুমানিক আড়াইটায় গাইনী বিভাগীয় প্রধান ডা. ফাহমিদা ইসলাম চৌধুরী ৩৩নম্বর গাইনী ওয়ার্ডের ক্লাসরুম ব্যবহার শেষে তালাবদ্ধ করেন। পরের দিন (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তিনি ক্লাসরুম খুলে দেখতে পান রুমে থাকা সরকারি মালামাল ও ঔষুধ সামগ্রী নেই। চুরি হওয়া সরকারি মালামালের মধ্যে ছিল- একটি ডেল ব্র্যান্ডের কম্পিউটার মনিটর (মূল্য ১২,০০০ টাকা), একটি স্যামসাং মনিটর (১৫,০০০ টাকা), একটি আহুজা ব্র্যান্ডের সাউন্ড সিস্টেম (৩৫,০০০ টাকা), একটি ওয়ারলেস মাইক্রোফোন রিসিভার (৪,৫০০ টাকা), দুইটি মাইক্রোফোন (১০,৪০০ টাকা), একটি ইপসন প্রজেক্টর (৪৩,০০০ টাকা)। এছাড়া বিভিন্ন তার, মাউস, কিবোর্ড ও সরকারি ঔষুধসামগ্রী। সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল। বিষয়টি হাসপাতাল পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর বাদী পাঁচলাইশ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোরদের সনাক্ত করেন এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, চমেক হাসপাতাল থেকে সরকারি মালামাল চুরির ঘটনায় দ্রুত অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া অধিকাংশ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে। ধৃত আসামীদের গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।