বাহার মজুমদারের জীবনও শুরু হয়েছিল একরাশ কষ্ট আর অগণিত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে।”

🎥 বাহার মজুমদার : সংগ্রাম থেকে তারকাখ্যাতি

🎙️ ভয়েসওভার শুরু

“জীবনের প্রতিটি স্বপ্নই সহজে পূরণ হয় না… আর অভিনয়ের স্বপ্ন তো একেবারেই নয়।

বাহার মজুমদারের জীবনও শুরু হয়েছিল একরাশ কষ্ট আর অগণিত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে।”

[📸 ভিজ্যুয়াল: ছোট্ট শহরের চায়ের দোকান, এক যুবক নিরাশ চোখে বসে আছে]

“অনেক পরিচালকের দরজায় গিয়েছিলেন কাজের আশায়…

কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।

তবুও হাল ছাড়েননি বাহার।

একদিন ভাগ্য যেন দরজায় কড়া নাড়ল।

চায়ের দোকানে বসা অবস্থায় পাশের টেবিলে শুনলেন দুইজন পরিচালক সিনেমার জন্য দশজন ফাইটিং চরিত্রের ছেলে খুঁজছেন।

সাহস সঞ্চয় করে দাঁড়ালেন তাদের সামনে…

সালাম দিলেন…

আর বললেন— ‘আপনার ফিল্মে কি আমাকে সুযোগ দেওয়া যায়?’

প্রথমে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও…

বন্ধুর সহায়তায় সেই দশজনের দলে তিনি জায়গা করে নিলেন।”

[📸 ভিজ্যুয়াল: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শুটিংয়ের দৃশ্য]

“শুটিং চলছিল কক্সবাজারে।

একদিন ছবির নায়ক রাজু শুটিংয়ে আসতে পারলেন না।

বাহার সুযোগটা লুফে নিতে চাইলেন।

কিন্তু পরিচালকেরা নতুন মুখ বলে ফিরিয়ে দিতে চাইছিলেন।

মন খারাপ করে সিঁড়ির গোড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বাহার।

ঠিক তখনই এলেন চট্টগ্রামের শিল্পী আলী আওয়াজ ভাই।

তিনি পরিচালকের কাছে অনুরোধ করলেন…

এবং বাহারের হাতে এল জীবনের প্রথম অভিনয়ের সুযোগ।

সেই মুহূর্ত থেকে শুরু হলো বাহার মজুমদারের আসল যাত্রা।”

[📸 ভিজ্যুয়াল: সিনেমা সেট, বাহারের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের ঝলক]

“এরপর একের পর এক সিনেমা, নাটক আর বিজ্ঞাপনে কাজ করতে থাকেন তিনি।

তবে জীবন সবসময় মসৃণ ছিল না।

এক বৈশাখী ঝড় তার জীবনকে থামিয়ে দিল।

আবারো শুরু হলো নতুন করে পথচলা।”

[📸 ভিজ্যুয়াল: ঢাকায় ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটছেন বাহার]

“২০১৯ সালে পরিচয় হলো পরিচালক মঞ্জু মোরশেদ ও রানা বৈরাগীর সাথে।

কিন্তু তখনও বড় চরিত্র জুটত না।

মাঝেমধ্যে সেটে সবার জন্য চা-নাস্তা আনতেন, সহকারী ক্যামেরাম্যান হিসেবেও কাজ করতেন।

কারণ জানতেন—ধৈর্য আর পরিশ্রমই একদিন তাকে পৌঁছে দেবে সাফল্যের শিখরে।”

“জীবনের মোড় ঘুরল যখন এলেন পরিচালক উত্তম কুমার—ওরফে লেডা মিয়া।

তিনি বললেন—

‘ঢাকায় এলে বড় বড় অভিনেতাদের সাথে কাজ করতে পারবে।’

প্রথমে দ্বিধা থাকলেও, পরে রাজি হলেন বাহার।

আর সেই থেকেই শুরু হলো তার জীবনের নতুন অধ্যায়।”

[📸 ভিজ্যুয়াল: ঢাকার নাটক, বিজ্ঞাপন ও সিনেমার দৃশ্য]

“আজ বাহার মজুমদার ব্যস্ত এক অভিনেতা।

অনেক পরিচালক ও প্রযোজক তার সময়ের অপেক্ষায় থাকেন।

দর্শকরা আগ্রহ নিয়ে তার নতুন নাটক, শর্ট ফিল্ম বা মিউজিক ভিডিওর প্রতীক্ষায় বসে থাকেন।

তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন—

‘অভিনয়ের জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। আজ আপনাদের ভালোবাসা সেই কষ্ট ভুলিয়ে দেয়। সারাজীবন অভিনয় করে আপনাদের ভালোবাসা নিয়েই থাকতে চাই।’

🌿 বাহার মজুমদারের গল্প আমাদের শেখায়—

যে স্বপ্নে জেদ থাকে, সে স্বপ্ন একদিন অবশ্যই সত্যি হয়।