রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয়টি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেলে চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটটি ফ্লাইট অবতরণ করে।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, যে আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে, তার মধ্যে দুটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ছিল। অপর ৬টি ফ্লাইটের একটি ব্যাংকক থেকে, আরেকটি মধ্যপ্রাচ্য থেকে ঢাকায় অবতরণ করার কথা ছিল। বাকি চারটিও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। এ সব ফ্লাইট ঢাকার বদলে চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বিমানবন্দরের সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে এ সময়ে ঢাকার শাহজালালের পথে থাকা উড়োজাহাজ চট্টগ্রামে অবতরণ করে।
এদিকে শনিবার বেলা ৩টা ৩১ মিনিটে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৪০ ফ্লাইটটি ৩৯৬ জন যাত্রী নিয়ে রিয়াদ থেকে উড়াল দিয়েছিল। তবে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে বিকেল ৩টা ৩১ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে উড়োজাহজটি সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা আছে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে নভো এয়ারের একটি উড়োজাহাজ বেলা ৩টা ১২ মিনিটে যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উড়োজাহজটিকে সিলেট থেকে বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কার্গো ভিলেজে আগুন লাগায় উড়োজাহাজটি সিলেট ত্যাগ করেনি। এ ছাড়া সিলেট থেকে ঢাকাগামী অন্য কোনো উড়োজাহাজের ফ্লাইট বাতিল হয়নি।